আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
কংগ্রেস-জেডিএস সরকারকে প্রায় ভেন্টিলেশনে পাঠিয়ে ইতিমধ্যেই বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন দুই দলের ১৩ জন নেতা। বিক্ষুব্ধ নেতাদের এই সিদ্ধান্তে একেই যায় যায় দশা জোট সরকারের। তারই মধ্যে এদিন সরকারের পাশ থেকে সরে দাঁড়ান দুই নির্দল বিধায়কও। রাস্তা খুঁজতে এদিন সকালে উপমুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বরের বাড়িতে বৈঠকে বসেন কংগ্রেসের মন্ত্রীরা। সেখানে ছিলেন কংগ্রেসের পরিষদীয় নেতা সিদ্ধারামাইয়া ও এআইসিসি সাধারণ সম্পাদককে সি বেণুগোপাল। ওই বৈঠকের পর কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীও। ছুটি কাটিয়ে গতকাল রাতে তিনি আমেরিকা থেকে ফিরেছেন। কংগ্রেসের মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পর বেণুগোপাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তিনি বলেন, বৃহত্তর দলীয় স্বার্থে গতকাল ও আজ দলের প্রবীণ নেতা ও মন্ত্রীদের সঙ্গে বিস্তারিতভাবে কথা হয়েছে আমাদের। আজ সকালে মন্ত্রীদের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। চলতি পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কংগ্রেসের মন্ত্রীরা নিজেরাই স্বেচ্ছায় মন্ত্রিপদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মন্ত্রিসভায় রদবদল ঘটিয়ে সমস্যার সমাধান করার ভার তাঁরা কংগ্রেস নেতৃত্বের উপর ছেড়ে দিয়েছেন। আমি মন্ত্রীদের ধন্যবাদ জানাই। কংগ্রেস পরিষদীয় দলেন নেতা সিদ্ধারামাইয়াও বলেন, সব মন্ত্রীরাই সেচ্ছায় মন্ত্রিপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। মন্ত্রিসভার রদবদল ঘটানোর ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়েছেন দলকে।
কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্ত সামনে আসার পর একই পথে হাঁটে শরিক জেডিএসও। মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়, জেডিএসের ৯ জন মন্ত্রীও ইস্তফা দিয়েছেন। মন্ত্রিসভায় রদবদল ঘটানোর সুযোগ করে দিতেই তাঁদের এই সিদ্ধান্ত। কর্ণাটকে জোট সরকারের এই সঙ্কটের দায় এদিনও বিজেপির উপর চাপিয়েছে কংগ্রেস। বেণুগোপাল বলেন, জোট সরকারকে ফেলে দেওয়ার লক্ষ্যে এটা বিজেপির ষষ্ঠ প্রচেষ্টা। কিন্তু ফিরে আসার বিষয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী। যে বিধায়করা ইস্তফা দিয়েছেন, তাঁদের ফিরে আসা উচিত। তাঁদের সঙ্গে সব কিছু নিয়েই আলোচনায় রাজি দল। যদিও সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিক্ষুব্ধরা কংগ্রেসের এই প্রস্তাবে সাড়া দিচ্ছেন কি না, তা নিয়ে এখনও সংশয় কাটেনি।
কংগ্রেস সঙ্কটের দায় চাপানোর চেষ্টা করলেও তা এদিনও খারিজ করা হয়েছে বিজেপির তরফে। সোমবার লোকসভায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, কর্ণাটকে যা চলছে তার সঙ্গে আমাদের কোনও রকম সম্পর্ক নেই। দল বদলের জন্য কারও উপর কোনও রকম চাপ তৈরি করা হয়নি। তবে রাজনাথে দায় এড়ানোর দিনেই মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর উপর চাপ আরও বাড়িয়েছে কর্ণাটক বিজেপি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি বিধায়ক আর অশোক সাংবাদিকদের বলেন, ১৩ জন বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ায় ও দুই নির্দল বিধায়ক সমর্থন প্রত্যাহার করায় কুমারস্বামীর সরকার সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর উচিত এখনই পদত্যাগ করা। মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার আঁকড়ে থাকার কোনও নৈতিক অধিকার আর নেই কুমারস্বামীর।
বিজেপি চাপ বাড়ালেও তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ কুমারস্বামী। তিনি বলেন, রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি নিয়ে আমার কোনও ভয় নেই। বিজেপি বা অন্য দলের