বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
ভালসাদের ভাগদাওয়াড়ার বাসিন্দা হর্ষদ আহির গুজরাত মিত্র নামে একটি দৈনিক সংবাদপত্রের সিটি ব্যুরো চিফ। পুলিস জানিয়েছে, শনিবার রাতে ৩৪ বছরের ওই সাংবাদিক, তাঁর স্ত্রী কেতনা (৩০) ও তাঁদের দেড় বছরের শিশুকন্যার উপর চড়াও হয় তিন ব্যক্তি। ভালসাদের একটি অ্যাপার্টমেন্টে পরিবার নিয়ে থাকেন হর্ষদ। ঘটনাচক্রে ওই অ্যাপার্টমেন্টটি ভাগদাওয়াড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে পড়ে। মূল অভিযুক্ত ধর্মেশ প্যাটেল ভাগদাওয়াড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান। শনিবার রাত ১০টা ১৫ মিনিট নাগাদ ধর্মেশ সহ মোট পাঁচজন অ্যাপার্টমেন্টের নীচে এসে জড়ো হয়। সাংবাদিককে নীচে নেমে আসার নিদান দেওয়া হয়। কিন্তু হর্ষদ তাতে রাজি হননি। এরপর ধর্মেশ নিজেই উপরে উঠে আসেন। সঙ্গে আনেন তাঁর দুই সাগরেদ জয়দেব দেশাই ও সাগর প্যাটেলকে। বাকি দু’জন নীচেই অপেক্ষা করতে শুরু করে। সাংবাদিকের ঘরে ঢুকে এসে তাঁকে ও তাঁর স্ত্রীকে হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ। লাথি মারা হয় তাঁদের শিশুকন্যাকেও। হর্ষদের কথায়, ‘আমি কেন ওই খবর লিখেছি, চিৎকার করে তাঁর কৈফিয়ত চাইতে থাকেন প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান। এমনকী আমাকে খুন করার হুমকিও দেন।’ সাংবাদিকের অভিযোগ, ভাগদাওয়াড়া গ্রামে একটি পুকুরকে কেন্দ্র করে সৌন্দর্যায়নের কাজ হয়েছিল পাঁচ বছর আগে। সেই সময় পঞ্চায়েত প্রধান ছিলেন ধর্মেশ। সম্প্রতি সামান্য বৃষ্টিতেই সেই সরকারি কাজের দশা বেহাল হয়ে পড়ে। কিছুদিন আগে সেই সরকারি কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে খবর করেছিলেন হর্ষদ। তাঁর অভিযোগ, ওই খবরের জেরেই দলবল নিয়ে হামলা চালিয়েছেন প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান।
সাংবাদিকের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর দুই সাগরেদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিস। ভালসাদের পুলিস সুপার সুনীল যোশি বলেন, সাংবাদিকের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর সাগরেদদের বিরুদ্ধে। জয়দেব নামে একজনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। বাকি দু’জন ফেরার।