আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানিয়েছে, দ্রুত গতিতে চলা বাসের চালক ঘুমিয়ে পড়াতেই দুর্ঘটনা ঘটে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি ব্রিজের রেলিং ভেঙে ২০ ফুট নীচে গিয়ে পড়ে। ঘটনার ভয়বহতা জানা গিয়েছে জখম যাত্রীদের মুখ থেকেও। এক যাত্রী জানান, ভোররাতে বাসের মধ্যে প্রায় সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। ঢুলছিলেন চালকও। হঠাৎই বিকট শব্দ। কোনও কিছু বোঝার আগেই বিরাট জোরে আছড়ে পড়লাম। তীব্র আর্তনাদ এবং বাঁচার আকুতির মধ্যে দেখলাম, বাসের ভিতরে হু হু করে জল ঢুকছে। তারপর আর কিছু মনে নেই। পুলিস আসার আগে স্থানীয় মানুষ উদ্ধারকাজ শুরু করেন। জলে নেমে কয়েকজনকে গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁরা উদ্ধার করেন। পুলিস জানিয়েছে, বাসের মুখ খালের কাদায় গেঁথে যায়। একটি ক্রেন এবং অন্যান্য যন্ত্রাংশের সাহায্যে সেটিকে টেনে তুলতে বেশ কয়েক ঘণ্টা কেটে যায়। খালের জল এবং বাসের ভিতর থেকে ২৯টি দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে আগ্রার জেলা শাসক জানিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশ সরকার মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছে। একইসঙ্গে অতিরিক্ত মুখ্য তথ্য সচিব অবনীশ অবস্তি জানান, শোকপ্রকাশের পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। পরিবহণ কমিশনার, ডিভিশনাল কমিশনার এবং আইজিকে নিয়ে গঠিত কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন তিনি। তাঁরই নির্দেশে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান উপ-মুখ্যমন্ত্রী দীনেশ শর্মা এবং রাজ্য পরিবহণ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী স্বতন্ত্র দেব সিং। একইসঙ্গে ঘটনাস্থলে যান উত্তরপ্রদেশ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ সিং। পরে ট্যুইটারে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং লিখেছেন, আমি সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি জখমদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে কথা বলেছি। উনি উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং পরিবহণমন্ত্রীকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন।
ট্যুইটারে শোকপ্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, উত্তরপ্রদেশে ফের একটি দুর্ঘটনায় একাধিক প্রাণহানির খবর শুনে খারাপ লাগছে। এবারের ঘটনাটি আগ্রার কাছে। মৃতদের পরিবারের প্রতি আমি সমবেদনা জানাই। জখমদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। আমাদের ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ সবাই মেনে চলুন। একইসঙ্গে শোক জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা। রাহুলের পাশাপাশি ট্যুইটারের মাধ্যমে মৃতদের পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ওয়াধেরা। তিনি লিখেছেন, কাছের মানুষ হারানো পরিবারগুলির কথা ভেবে আমি অস্থির হয়ে উঠছি। এই শোক কাটিয়ে উঠতে ভগবান তাঁদের শক্তি দিন।