কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ নয়াদিল্লিতে নেমেছেন মাইক পম্পেও। আগামীকাল সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পাশাপাশি বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে মিলিত হওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। সন্ধ্যায় ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে ভারতীয় এবং মার্কিন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠকের পাশাপাশি নীতি নিয়ে ভাষণ দেবেন তিনি।
বিদেশমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণে পর এই প্রথম কোনও উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন এস জয়শঙ্কর। যদিও দীর্ঘদিন বিদেশ সচিব থাকায় এই অভিজ্ঞতা তাঁর কাছে নতুন নয়। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘মাইক পম্পেওর সঙ্গে এই বৈঠক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কিত ইস্যুগুলি নিয়ে নিশ্চিতভাবেই সেখানে আলোচনা হবে। দু’দেশেরই নিজস্ব স্বার্থ রয়েছে। এবং সে কারণে কিছু দ্বন্দ্ব থাকা স্বাভাবিক। কূটনীতির মাধ্যমে আমরা একটি সমাধানসূত্র বের করব। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই বৈঠক আলোচনা করা হবে।’
কূটনৈতিক সূত্রে অবশ্য এমনও জানা যাচ্ছে যে পম্পেও-জয়শঙ্করের বৈঠকে কোনও নির্দিষ্ট আলোচ্যসূচি নেই। ভারত-মার্কিন সম্পর্কের নানা দিক নিয়েই সেখানে আলোচনা হবে। তবে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার বিষয়টি যে সেখানে উঠে আসবেই তা নিয়ে নিশ্চিত সকলেই। সেইসঙ্গে, এইচ-ওয়ানবি ভিসা নিয়ে ভারতীয়দের দুশ্চিন্তা যথেষ্টই। তবে বিষয়টি নিয়ে ভারত সরকারকে পম্পেও আশ্বস্ত করবেন বলেই জানিয়েছেন মার্কিন আধিকারিক। তবে বৈঠকের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে চলেছে ইরান থেকে তেল কেনার বিষয়টি। এতদিন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ভারতকে ইরান থেকে তেল কেনার ব্যাপারে ছাড় দিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। সম্প্রতি তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ভারতকে কোনও বিকল্প জ্বালানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে কি না, তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে খবর। এছাড়া আলোচনা হতে পারে প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির হস্তান্তর নিয়েও।