কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
আলিগড়ের সীমা টকিজ অতি পরিচিত এলাকা। সেখানকারই একটি সরু গলির এক পাশে কচুরির দোকান মুকেশের। সাদামাটা দোকান। ফুটপাতের আর পাঁচটা দোকানের মতোই। তবে ‘মুকেশের কচুরি’র দোকান বললে একডাকে সবাই চেনে। সকাল, বিকেল, দুপুর কিংবা সন্ধ্যা। মুকেশের দোকানে লাইনের বিরাম নেই। ১০-১২ বছর আগে শুরু করে এখন সুনামের শীর্ষে ‘মুকেশের কচুরি’!
আর এই জনপ্রিয়তাই কাল হল মুকেশের। লখনউ থেকে অভিযোগ জমা পড়ে বাণিজ্যিক কর দপ্তরের আলিগড় রেঞ্জে। শুরু হয় নজরদারি। তাতে চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড় স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন ব্রাঞ্চ (এসআইবি)-এর কর্তাদের। ডেপুটি কমিশনার রবীন্দ্র পাল সিংয়ের কথায়, ‘নজরদারিতে উঠে আসা তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, মুকেশের কচুরির দোকানের বাৎসরিক লেনদেনের পরিমাণ ৬০-৭০ লক্ষ টাকা। তার পরেই দোকানে তল্লাশি চালানোর জন্য ওয়ারেন্ট ইস্যু করে এসআইবি। গত ২১ জুন মুকেশের দোকানে অভিযান চালানো হয়।’ এসআইবি কর্তারা জানিয়েছেন, দোকানে ক্রেতাদের ভিড়, জ্বালানির খরচ, ভোজ্য তেলের খরচ কিংবা কচুরি তৈরির কাঁচামালের পরিমাণের হিসেব কষে দেখা গিয়েছে, বাৎসরিক লেনদেনের পরিমাণ এক কোটি টাকাও ছাপিয়ে যেতে পারে। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরই আলিগড়ে মুকেশের এখন পরিচিতি ‘ক্রোড়পতি কচুরি বিক্রেতা’। তবে শুধু মুকেশই নয়, আলিগড়ে ফুটপাতের বহু দোকানেরই বাৎসরিক লেনদেন ২০-৪০ লক্ষ টাকার বেশি। কিন্তু কেউই জিএসটি রেজিস্ট্রেশন করেননি। ওই সব দোকানগুলিকেও এবার চিহ্নিত করে নজরদারির তালিকাভুক্ত করেছে বাণিজ্যিক কর দপ্তর।