কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
চলতি মাসের শুরু থেকেই মুজফ্ফরপুরে এনসেফেলাইটিসে একের পর এক শিশুর মৃত্যু হতে থাকে। জেলা প্রশাসনের তথ্য বলছে, ১ জুন থেকে মোট ৩৭২টি শিশু ‘অ্যাকিউট এনসেফেলাইটিসে সিনড্রম’ নিয়ে শ্রীকৃষ্ণ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। এদিন নতুন করে ২০টি শিশুর মৃত্যুতে এই হাসপাতালে মোট মৃতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৯৩। ট্রাস্ট পরিচালিত কেজরিওয়াল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল ১৪৬টি শিশু। তাদের মধ্যে মোট ১৯টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মুজফ্ফরপুর ছাড়িয়ে এনসেফেলাইটিসের প্রকোপ দেখা দিয়েছে পার্শ্ববর্তী পূর্ব চম্পারণ জেলাতেও। সেখানকার বহু গ্রামে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। পরিস্থিতির মোকাবিলায় ১১জন স্বাস্থ্য আধিকারিককে নিয়ে একটি বিশেষ দল গঠন করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। এদিন এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই দলটি দ্বারভাঙা, মধুবনিতে কাজ করছিল। তাদের চটজলদি মুজফ্ফরপুরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করবে ওই দলটি। এরই পাশাপাশি, তিনজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, ১২জন নার্সকেও পৃথকভাবে মুজফ্ফরপুরে পাঠানো হয়েছে বলে ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
তাতেও উদ্বেগ কমছে না মুজফ্ফরপুরের। ধারাবাহিক শিশুমৃত্যুতে সরকারের বেআব্রু স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকেই কাঠগড়ায় তুলে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ক্ষোভ-বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। ক্ষোভ গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। এদিনই মহম্মদ নাসিম নামে জেলার এক বাসিন্দা স্থানীয় আদালতে সরকারের গাফিলতি নিয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, তাঁর ডেপুটি সুশীল মোদি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গল পাণ্ডে সহ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনকে। আগামী মঙ্গলবার মামলার শুনানি হবে বলে আদালত সূত্রের খবর। মুজফ্ফরপুরে এনসেফেলাইটিসের মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি বিশেষ দল গঠন ও চিকিৎসার অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি পাঠানোর আর্জি জানিয়ে এদিন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন আইনজীবী মনোহর প্রতাপ। জরুরি ভিত্তিতে তাঁর আবেদন শুনতে রাজি হয়েছে বিচারপতি দীপক গুপ্ত ও সূর্য কান্তকে নিয়ে গঠিত অবসরকালীন বেঞ্চ। আগামী সোমবারই মামলার শুনানি হবে।
এদিন পাটনায় একটি ব্যাঙ্কের সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির ছিলেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীলকুমার মোদি। স্বভাবতই মুজফ্ফরপুরে শিশুমৃত্যু নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। কিন্তু কৌশলে প্রতিটি প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান তিনি। মোদির সাফ কথা, ‘একমাত্র ব্যাঙ্কিং বিষয় ছাড়া অন্য কোনও ইস্যুতে আমি কিছু বলব না।’ মোদির এই ‘নীরবতা’ নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধীরাও।