কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
অসমে প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা টেট-এ পাশ করে বিভিন্ন স্কুলে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের স্থায়ীকরণ নিয়ে সরকার কোনও সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এ নিয়ে শিক্ষকরা বিক্ষোভ-আন্দোলন চালাচ্ছিলেন। গত ১৩ জুন সেই আন্দোলনে ঘৃতাহুতি দেন শিক্ষামন্ত্রী সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য। অল ইন্ডিয়া রেডিও’র এক অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তিনি গাড়ির চালকদের সঙ্গে শিক্ষকদের তুলনা টানেন। মন্ত্রী বলেন, ‘ড্রাইভাররা যেমন তাঁদের লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করেন, তেমনই শিক্ষকদেরও করতে হবে। সাত বছর অন্তর হবে পুনর্নবীকরণ। কেউ যদি তা না করেন তা হলে আবারও তাঁকে টেট-এ বসতে হবে।’
মন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরই ক্ষোভ বাড়তে থাকে শিক্ষক মহলে। প্রতিবাদ জানাতে প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়া পরে জেলা ভিত্তিক বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাঁদের বক্তব্য, টেটে পাশ করার পরই সরকার তাঁদের নিয়োগ করেছে। সেক্ষেত্রে চাকরির পুনর্নবীকরণের প্রশ্ন আসবে কেন? মন্ত্রী এমন দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো তুলনা টেনে গোটা শিক্ষক সমাজকেই অসম্মান করেছেন। অবিলম্বে মন্তব্য প্রত্যাহার করে টেট শিক্ষকদের স্থায়ীকরণের উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।
এদিন ডেপুটি কমিশনার অফিসের সামনে বিক্ষোভে শামিল হওয়া শিক্ষক প্রবীণ প্রসাদ বলেছেন, ‘গাড়ির চালকদের অসম্মান করার কোনও অভিপ্রায় আমাদের নেই। কিন্তু ড্রাইভিং লাইসেন্সের সঙ্গে আমাদের চাকরির নিয়োগপত্রের কোনও তুলনা চলে না। টেটের মাধ্যমে আমরা চাকরি পাওয়ার সব যোগত্যাই প্রমাণ দিয়েছি। তাই প্রতিবাদ হিসেবে আমার নিজের ফেসবুক পেজে নামের আগে ‘আমিও ড্রাইভার’ লিখেছি।’ ‘টেট উত্তীর্ণ শিক্ষক সমাজ’-এর সাধারণ সম্পাদক মিরাজুল রশিদের কথায়, ‘কোনও পেশার মর্যাদা হানি করার উদ্দেশ্য আমাদের নেই। টেট পাশ করা শিক্ষকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে এই লড়াই। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের প্রতিবাদ গাড়ির চালকদের অসম্মান করতে নয়। বরং তাঁদের আত্মমর্যাদাকে কুর্নিশ করতে। কারণ, আমরা শিক্ষকরাও কোনও না কোনও স্কুলের চালক। আবার মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়ালও রাজ্যের চালক। কিন্তু ড্রাইভিং লাইন্সের মতো শিক্ষকতার চাকরিতে পুনর্নবীকরণের যে প্রস্তাব মন্ত্রী দিয়েছেন তা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।’ রশিদও এদিন বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন।