শাহজাহানপুর,১৬ জুন: বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চায়নি ১৫ বছরের এক নাবালিকা। এটাই ছিল তার ‘অপরাধ।’ এরপর তাকে হাত ও পা বেঁধে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে জলে ফেলে খুনের চেষ্টা করল তার বাবা ও দাদা। মাস দু’য়েক আগে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরে। পুলিস সূত্রের খবর, ওই কিশোরীকে পড়াশোনার বদলে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকে তার বাবা-মা ও দাদা। কিন্তু তাদের কথায় রাজি না হয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাবে বলে জানিয়ে দেয়। এরপর ‘অবাধ্য’ মেয়েকে শায়েস্তা করতে খুনের পরিকল্পনা করে তার বাবা ও দাদা। সেইমতো তার হাত-পা বাধা হয়। ওই অবস্থায় একটি খালের ধারে নিয়ে গিয়ে ছুরি দিয়ে কোপাতে থাকে বাবা ও দাদা। তারপর ধাক্কা দিয়ে খালের জলে ফেলে দেয় তারা। ওই অবস্থায় কোনওক্রমে হাত ও পায়ের বাঁধন খুলে সে সাঁতরে নিরাপদ স্থানে উঠে পালিয়ে যায়। এদিকে ঘটনার কিছুক্ষণ পরে মেয়ে বেঁচে আছে না মারা গিয়েছে, তা দেখতে আসে খালের ধারে আসে তার বাবা। বর্তমানে কিশোরী তার দিদি-জামাইবাবুর বাড়িতে রয়েছে। নাবালিকার অভিযোগ সত্য বলে দাবি করেছেন তার জামাইবাবু।
তার জামাইবাবু বলেন, আমি ওই কিশোরীর দিদির স্বামী। বিয়ের বদলে পড়াশোনা করতে চাওয়ায় তার উপর অত্যাচার বাড়ছিল। আমি তাকে খালের ধার থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসি। যাতে জোর করে আবার তার বাবা-মা বিয়ে দিতে না পারেন। এদিকে পুলিস ওই কিশোরীর বাবা ও দাদাকে খুঁজছে। পুলিস অফিসার দানেশ ত্রিপাঠি বলেন, কিশোরীর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি তার বাবা ও দাদার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।