কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সম্প্রতি অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের তরফে একগুচ্ছ দাবিদাওয়া জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে। সেখানে তাদের দাবি, সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সুদ অন্তত দুই বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হোক। ফিক্সড ডিপোজিটের উপর আয়করের বোঝা সরানো হোক। কৃষি ক্ষেত্রে ঋণ দেওয়া হোক দু’শতাংশ হারে। আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারের ছাত্রছাত্রীদের বার্ষিক পাঁচ শতাংশ হারে ঋণের ব্যবস্থা করুক কেন্দ্র, চায় ওই সংগঠন।
অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সিএইচ ভেঙ্কটচলম বলেন, ঋণ নিয়ে, তা শোধ না করার ফলে দিন দিন ব্যাঙ্কের অনুৎপাদক সম্পদ বাড়ছে। এটা গোটা দেশের কাছেই অত্যন্ত দুশ্চিন্তার বিষয়। আমরা চাই আরবিআই আইনের ৪৫ নম্বর ধারার সংশোধন। এতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ঋণখেলাপিদের নাম সহজে প্রকাশ করতে পারবে। প্রতি ছ’মাস অন্তর সেই নাম প্রকাশিত হোক, চাই আমরা। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার এই অপরাধকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য আইনে বদল আনুক। ব্যাঙ্কের অনুৎপাদক সম্পদ কমাতে এবং টাকা পুনরুদ্ধারে আরও বেশি করে ডেট রিকভারি ট্রাইব্যুনাল গড়ুক এবং ফাস্ট ট্রাক কোর্ট খোলা হোক। কোর্টগুলির হাতে আরও বেশি ক্ষমতা তুলে দেওয়া হোক।
যেখানে সংস্থার আর্থিক হাল ফেরাতে দি ইনসলভেন্সি অ্যান্ড ব্যাঙ্করাপ্সি কোড চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার, সেখানে নতুন করে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট চালু করার পিছনে যুক্তি কী? অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাজেন নাগরের কথায়, ওই আইনে অনেক সময়ই হিতে বিপরীত হচ্ছে। ঋণখেলাপি সংস্থাগুলিকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে, যেখানে ব্যাঙ্কগুলিকে বাধ্য করা হচ্ছে অনাদায়ী ঋণের অঙ্ক ছেঁটে ফেলতে। সরকারের উচিত ব্যাঙ্কের টাকা ফেরানোর বিষয়টিতে আরও বেশি জোর দেওয়া। সেই মতো আইনের বদল হওয়া উচিত। যেখানে সংস্থার ডিরেক্টররা দায় এড়িয়ে যেতে না পারেন, তার জন্য তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ব্যাঙ্কের ঋণ পরিশোধ করার বিষয়ে জোর দেওয়া উচিত। রাজেনবাবুর কথায়, এখন ডেভেলপমেন্ট ফিনান্স ব্যাঙ্ক নেই। তার ফলে ছোট ও মাঝারি মেয়াদের ঋণের পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি বিভিন্ন পরিকাঠামো সংক্রান্ত প্রকল্পে দীর্ঘমেয়াদে মোটা টাকা ঋণ দিচ্ছে। তাতে ব্যাঙ্কগুলির সম্পদ ও দায়ের মধ্যে বিপুল ফারাক থাকছে। ছোট মেয়াদি ফান্ড কাজে লাগানো হচ্ছে দীর্ঘসূত্রী প্রকল্পে। এটা ব্যাঙ্কের অনুৎপাদক সম্পদ আরও বেশি করে বাড়াতে সাহায্য করছে। সরকারের উচিত এটিতে আরও বেশি নজর দেওয়া।