বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
এদিন সকালে মুজফফ্রপুরের সরকার পরিচালিত শ্রীকৃষ্ণ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল (এসকেএমসিএইচ)-এ আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে চলতি মাসেই শিশুমৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৩। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এখনও বহু শিশু ভর্তি। সকাল ন’টায় জেলা প্রশাসনের তরফে এক বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, জেলার প্রায় প্রতিটি ব্লকেই এনসেফেলাইটিসের প্রকোপ বাড়ছে। মূলত দু’টি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে অসুস্থ শিশুদের। একটি এসকেএমসিএইচ। অন্যটি ট্রাস্ট পরিচালিত কেজরিওয়াল হাসপাতাল। এদিন সকাল পর্যন্ত এসকেএমসিএইচে মোট শিশুমৃত্যর সংখ্যা ৬৯। কেজরিওয়াল হাসপাতালে মারা গিয়েছে ১৪টি শিশু। মৃত শিশুদের গড় বয়স ১০ বছরের নীচে। গত ১ জুন ‘অ্যাকিউট এনসেফেলাইটিস সিনড্রোম’-এ আক্রান্ত হয়ে মোট ১৯৭টি শিশু এসকেএমসিএইচে ভর্তি হয়েছিল। তারমধ্যে ৯১টি শিশুকে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল কেজরিওয়াল হাসপাতালে। আক্রান্ত শিশুদের ব্লাড সুগার দ্রুত নেমে যাওয়া এবং ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণেই মৃতের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে বলে ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
মুজফফ্রপুরে এনসেফেলাইটিসের মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনকে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিক ও চিকিৎসকদের মধ্যে সমন্বয় রেখে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে মৃত শিশুদের পরিবারপিছু চার লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনই প্রশাসনকে সেই টাকা শিশুদের পরিবারে হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মুজফফ্রপুরে এনসেফেলাইটিসের প্রকোপ বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র একটি প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে বুধবার। ওই দলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাও থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। তার আগে রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন মুজফফ্রপুরে আসার কথা। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গল পাণ্ডেকে নিয়ে তিনি এসকেএমসিএইচে যাবেন। পরে জেলা প্রশাসন ও রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও করবেন বলে সরকারি সূত্রে খবর। শনিবারই এসকেএমসিএইচ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। তিনি আবার বিজেপির বিহার ইউনিটের শীর্ষ নেতাও। শুধু মুজফফ্রপুরই নয়, বিহারের ১২টি জেলার ২২২টি ব্লকেই এনসেফেলাইটিসের প্রকোপ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় কুমার। তবে মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি মুজফফ্রপুরে।