পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ইতিমধ্যে রোগীদের পরিবারের হাতে প্রহৃত কলকাতার এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের জখম চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে শুক্রবার থেকে দেশব্যাপী তিনদিনের আন্দোলনের ডাক দেয় তারা। সেইমতো, এনআরএসের ডাক্তারদের পাশে দাঁড়ায় দিল্লি এইমস, সফদরজং, লোক নায়ক, জিটিবি সহ দিল্লির বহু বেসরকারি হাসপাতাল। পাশাপাশি, সোমবার জরুরি পরিষেবা চালু রেখে দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন ডাক্তারদের এই সর্বভারতীয় সংগঠন। শুক্রবার থেকে তিন দিনের আন্দোলনে ডাক দিলেও এদিন দিল্লি এইমস রেসিডেন্ট চিকিৎসকেরা তা প্রত্যাহার করেন।
এ বিষয়ে এইমসের রেডিসেন্ট ডাক্তারদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন ফর রেসিডেন্ট ডক্টর্স (এআরডি)-এর সভাপতি অমরিন্দর সিং মালহি বলেন, ‘সমস্ত রেসিডেন্ট চিকিৎসকেরা কাজে ফিরেছেন। তবে তাঁরা কালো ব্যাজ, ব্যান্ডেজ ও হেলমেট পরে প্রতীকি আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। কিন্তু, পরিস্থিতি যদি আরও খারাপ হয়, তাহলে ১৭ জুন থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে নামা হবে।’ এইমসের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুণ পাণ্ডে বলেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একের পর এক বিবৃতি দিচ্ছেন। একজন মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এ ধরনের মন্তব্য শোভা পায় না। ওঁর জানা উচিত, যেকোনও হিংসার বিরুদ্ধে লড়াই ও তা মোকাবিলা করার জন্য পুলিসকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। অন্যদিকে আমরা মানুষকে সুস্থ করতে প্রশিক্ষিত। সরকার যদি আমাদের সুরক্ষা না দিতে পারে, তাহলে এমবিবিএস-এ আত্মসুরক্ষার মতো বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হোক। তাহলে নিজেদের নিরাপত্তা নিজেরাই বুঝে নেব।’
অন্যদিকে, এনআরএসের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে আন্দোলনে শামিল হয়েছে পুদুচেরির জওহরলাল নেহরু অব পোস্ট গ্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ বা জেআইপিএমইআর। তারাও আইএমএর পাশে দাঁড়িয়ে জানিয়েছে, আগামী সোমবার ধর্মঘটে শামিল হবে। শুধু দিল্লি বা পুদুচেরি নয়, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা থেকে শুরু করে উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন রাজ্যেও সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা এনআরএসের জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।