পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
শুক্রবারই রাজ্যসভার মেয়াদ শেষ হয়েছে মনমোহনের। সেই ১৯৯১ সালে প্রথমবার অসম থেকে রাজ্যসভার সদস্য হয়েছিলেন তিনি। এরপর টানা প্রায় তিনদশক তিনি উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্য থেকে রাজ্যসভায় নির্বাচিত হয়েছেন। অসমে এবার বিধানসভায় কংগ্রেসের বিধায়ক কমে দাঁড়িয়েছে ২৫। আবার অসম থেকে মনমোহনকে জিতিয়ে আনতে গেলে ৪৩টি প্রথম পছন্দের ভোট জোগাড় করতে হবে কংগ্রেসকে। যা এক কথায় অসম্ভব। বিজেপির কামাক্ষা প্রসাদ তাসা এবং অসম গণ পরিষদের বীরেন্দ্র প্রসাদ অসম থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভায় যাবেন। অসম ছাড়াও ওড়িশার ৪টি, গুজরাত ও বিহারের দু’টি করে এবং তামিলনাড়ুর একটি রাজ্যসভার আসন ফাঁকা হচ্ছে। গুজরাতে একটি আসন ছাড়া একার ক্ষমতায় এই রাজ্যগুলিতে রাজ্যসভার আসন জেতার মতো কোমড়ের জোর নেই কংগ্রেসের। গুজরাত থেকে মনমোহনকে জিতিয়ে আনা হবে কি না, তাই এখন দেখার। কংগ্রেস শাসিত কর্ণাটক, রাজস্থান, ছত্তিশগড় এবং পাঞ্জাবে এখনই রাজ্যসভার জন্য শূন্যপদ তৈরি হচ্ছে না। তাই এবার বাজটে অধিবেশনে মনমোহনের উপস্থিতির সম্ভাবনা নেই। ২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত রাজ্যসভার নেতা ছিলেন মনমোহন সিং। এর আগে তিনি ছ’বছর রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা ছিলেন।
অপরদিকে, প্রধানমন্ত্রিত্ব চলে যাবার পরেও জাতীয় রাজনীতিতে সমান প্রাসঙ্গিক থেকে গিয়েছেন জনতা দল সেকুলার নেতা এইচ ডি দেবেগৌড়া। কর্ণাটকের হাসন কেন্দ্রকে প্রায় নিজের দুর্গ বানিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। এবার এই হাসন কেন্দ্র নাতি প্রোজ্জ্বলকে ছেড়ে দিয়ে তিনি টুমকুর এবং রেবানা কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন দেবেগৌড়া। প্রোজ্জ্বল জিতলেও দু’টি কেন্দ্রেই হেরে যান দেবেগৌড়া। কর্ণাটকে এবার ২৮টি আসনের মধ্যে ২৫টিই দখল করেছে বিজেপি। আর জেডিএস থেকে প্রোজ্জ্বলই একমাত্র জিতেছেন। সেই প্রোজ্জ্বল জানিয়েছেন, জেডিএস কর্মীদের মনোবল ধরে রাখতে তিনি সংসদ সদস্য পদে ইস্তফা দেবেন যাতে দাদু আবার সংসদে যেতে পারেন। সেই সম্ভাবনা খারিজ করেছেন দেবেগৌড়া।
এবার বাজেট অধিবেশন শুরু হবে ১৭ জুন। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরে এই বাজেট অধিবেশন ঘিরে নানা মহলের উৎসাহ তুঙ্গে। আগামী পাঁচ বছরে সরকারের অর্থনৈতিক অগ্রাধিকার কী হবে, তার একটা ধারণা পাওয়া যাবে এবারের বাজেটে। অর্থনীতিবিদ মনমোহন সিং এবং বিচক্ষণ রাজনীতিক এইচ ডি দেবেগৌড়াকে সেই বাজেট বিতর্কে আর দেখা যাবে না।