গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
কিরঘিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে বসেছে এবারের এসসিওর আসর। দু’দিনের এই সম্মেলনে বৃহস্পতিবারই চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সরব হন পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাস নিয়ে। এমনকী জিনপিংকে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিলে, তবেই পাকিস্তানের সঙ্গে শান্তি আলোচনার পথ খোলা সম্ভব। সেই রেশ ধরে শুক্রবার সন্ত্রাস ইস্যুতে মদতদাতা দেশগুলিকে নিশানা করেন মোদি। পাকিস্তানের নাম না করে তিনি বলেন, ‘যে সমস্ত দেশ সন্ত্রাসে মদত, সহায়তা ও আর্থিক তহবিল প্রদান করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এদিন মোদি যখন বক্তব্য পেশ করছেন, তখন উপস্থিত রয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানি, জিনপিং, ইমরান প্রমুখ। সেখানে ইস্টার সানডেতে শ্রীলঙ্কার গির্জায় জঙ্গিহানার বীভৎসতার কথা তুলে ধরেন তিনি। সন্ত্রাস দমনে সঙ্কীর্ণ চিন্তা-ভাবনা ছেড়ে একজোট হওয়ার আর্জি জানান প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি, সন্ত্রাসবাদ দমনে আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের দাবি তুলেছেন তিনি। এরপরেই এসসিওর স্থিতিশীলতা ও সুরক্ষার স্বার্থে শান্তিপূর্ণ, ঐক্যবদ্ধ ও সমৃদ্ধ আফগানিস্তান জরুরি বলে মন্তব্য করেন মোদি।
এছাড়া, সন্ত্রাস দমন, আর্থিক বৃদ্ধি, বিকল্প জ্বালানি এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে এসসিওর সদস্যভুক্ত দেশগুলির মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতার আর্জি জানিয়েছেন মোদি। এ প্রসঙ্গে নিজের চিরাচরিত বাকপটুতার ঢঙে ‘HEALTH’ শব্দটি উপস্থাপন করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এইচ-এর অর্থ স্বাস্থ্যক্ষেত্রে (হেলথকেয়ার) সহযোগিতা, ই মানে আর্থিক (ইকনমিক) সহায়তা, এ-এর অর্থ বিকল্প (অল্টারনেট) জ্বালানি, এল হল সাহিত্য (লিটারেচার) ও সংস্কৃতি, টি মানে সন্ত্রাসমুক্ত (টেরোরিজম ফ্রি) সমাজ এবং এইচ হল মানবিক (হিউম্যানিটেরিয়ান) সহযোগিতা।’
এদিকে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একজোটে নিন্দায় সরব হয়েছে ভারত সহ অন্যান্য সাত সদস্য দেশ। সেখানে সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রপন্থাকে কখনও মেনে নেওয়া হবে না বলে প্রস্তাব পাশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সন্ত্রাসের যে কোনও রূপকেই নিন্দা জানাচ্ছে সদস্য দেশগুলি। সন্ত্রাস দমনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা প্রার্থনা করা হয়েছে। অন্যদিকে, এসসিওর মঞ্চে ইমরানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক প্রথা ভাঙার অভিযোগ উঠেছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সদস্য প্রতিনিধিরা যেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছেন, সেখানে পাক প্রধানমন্ত্রী নিজের আসনে বসে রয়েছেন। যা নিয়ে সমালোচিত হয়েছেন তিনি।
এসসিওর সদস্য প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকের আগে এদিন কিরঘিজস্তানের প্রেসিডেন্ট সুরনবে জিনবেকোভের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। আল আর্চা প্রেসিডেন্ট ভবনে আসতেই তাঁকে উষ্ণ অভিনন্দন জানান জিনবেকোভ। পরে ট্যুইটারে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার একথা জানিয়েছেন। আগে বৃহস্পতিবার রাতেই আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির সঙ্গে দেখা করেন মোদি। সন্ত্রাসে বিধ্বস্ত দেশগুলিতে শান্তিস্থাপনে ভারতের ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে ঘানির সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি।