পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
২০১৪ সালে কেন্দ্রে প্রথমবারের জন্য ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সারা দেশের পাশাপাশি রেলেও স্বচ্ছতা অভিযান কর্মসূচির উপর বিশেষ জোর দিয়েছে মোদি সরকার। রেলমন্ত্রক সূত্রের খবর, কেন্দ্রের দ্বিতীয় মোদি সরকারের আমলে এই কাজে আরও জোর দেওয়া হবে। এবং এক্ষেত্রেই বাড়তি দায়িত্ব চাপানো হতে পারে টিটিই এবং প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানো টিকিট কালেক্টরদের উপর। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, রেলের নতুন রাষ্ট্রমন্ত্রী সুরেশ অঙ্গারি এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই একটি প্রস্তাব দিয়েছেন রেলবোর্ডে। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, শুধু টিকিট পরীক্ষাই টিটিইদের কাজ হতে পারে না। চলন্ত ট্রেনে কোনও যাত্রীর শরীর খারাপ হলে তাঁরা যেমন চিকিৎসকের ব্যবস্থা করেন, তেমনই গোটা ট্রেন পরিচ্ছন্ন রয়েছে কি না, কিংবা শৌচালয় নোংরা হয়ে রয়েছে কি না, তাও তাঁদের দেখা উচিত। একই কাজ বর্তায় প্ল্যাটফর্মের টিকিট কালেক্টরদের উপরও। রেল সূত্রের খবর, একইসঙ্গে রেলের রাষ্ট্রমন্ত্রী এও প্রস্তাব দিয়েছেন, রেলের স্বচ্ছতা ও পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে আরও বেশি সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হোক।
রেলের খাবার নিয়ে যেমন সাধারণ যাত্রীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ রয়েছে, তেমনই ট্রেনের অপরিচ্ছন্ন কামরা, নোংরা টয়লেট নিয়েও যাত্রীদের অসন্তোষ বহুদিনের। সেই সমস্যার সমাধানে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে রেলমন্ত্রক। যেমন রাজধানী, দুরন্ত এবং শতাব্দীর মতো প্রিমিয়াম ট্রেনের পাশাপাশি সমস্ত দূরপাল্লার মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনে ‘অন বোর্ড হাউস কিপিং সার্ভিসে’র (ওবিএইচএস) বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ওবিএইচএস কর্মীরা চলন্ত ট্রেনের কামরা, শৌচালয়ের মতো একাধিক স্থান পরিষ্কারের দায়িত্বে থাকেন। ১ হাজারেরও বেশি দূরপাল্লার মেল/এক্সপ্রেস ট্রেনে চালু করা হয়েছে ‘ক্লিন মাই কোচ’ পরিষেবা। রয়েছেন ‘কোচ মিত্র’। এসএমএসের মাধ্যমেই এঁদের পরিষেবার জন্য ডেকে নেওয়া যাবে। এরই পাশাপাশি ২০১৮-’১৯ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত মোট ১১ হাজার ১০৭টি ট্রেন কোচে লাগানো হয়েছে ৪০ হাজার ৯৩৭টি বায়ো টয়লেট। তবুও ট্রেনের অপরিচ্ছন্নতা নিয়ে সাধারণ যাত্রীদের অসন্তোষ কমেনি। এবার নয়া ব্যবস্থা কার্যকর হলে সরাসরি টিটিইদের কাছেই এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ জানাতে পারবেন যাত্রীরা।