গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এদিকে এবারের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের মোট ৪২টি আসনের ১৮টিতেই বিজেপি জয়ী হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই এদিনের বৈঠকে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে বাংলা। বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ সভাপতি দিলীপ ঘোষ, প্রাক্তন সভাপতি তথা দলের অন্যতম কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহারা উপস্থিত ছিলেন এদিনের বৈঠকে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে অবধারিতভাবে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির প্রসঙ্গ। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সন্দেশখালির ন্যাজাট কাণ্ড এবং সরকারি হাসপাতালে ‘দুষ্কৃতী’দের হাতে জুনিয়র ডাক্তারদের নিগৃহত হওয়ার ঘটনায় বাংলার চিকিৎসা পরিষেবায় কার্যত নজিরবিহীন সঙ্কটের বিষয়টি দলের সর্বভারতীয় সভাপতির কাছে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছেন বাংলার বিজেপি নেতারা। পরে রাজ্যে চলা ডাক্তারদের কর্মবিরতি নিয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘রাজ্য সরকার বাংলার ডাক্তারদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না। উল্টে চিকিৎসকদের যাদের হাতে নিগৃহীত হতে হচ্ছে, সেই দুষ্কৃতীদেরই প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। ডাক্তারদের বলা হচ্ছে কাজে না ফিরলে অবিলম্বে হস্টেল খালি করে দিতে হবে। আসলে সমাজবিরোধীরাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটার।’ দলের অন্দরের খবর, বৈঠকে অমিত শাহ বাংলার নেতাদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, লোকসভা ভোটে ভালো ফল থেকে যেন কোনওরকম তৃপ্তি না চলে আসে বিজেপি নেতৃত্বের মধ্যে। বরং এখন অনেক বেশি করে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে মিশন ২০২১ এর জন্য। অর্থাৎ ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের রণকৌশল প্রস্তুত করতে হবে। এবং তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী কোনও ইস্যুই মিস করা যাবে না। সদস্য সংগ্রহ অভিযানে জোর দিতে হবে। বাংলা জয় সম্পূর্ণ না হলে, বিজেপির লক্ষ্যপূরণ হবে না।
এ ব্যাপারে আজ বিজেপির শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতা ভূপেন্দ্র যাদব বলেছেন, ‘আমরা খুব শীঘ্রই দলের সদস্য সংগ্রহ অভিযান কর্মসূচি শুরু করতে চলেছি। ২০১৪ সালের পর বিজেপির সদস্য সংখ্যা বেড়ে হয়েছে প্রায় ১১ কোটি। তা কমপক্ষে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। কয়েকটি রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগেই এই টার্গেট পূরণ করে ফেলতে হবে। এই সদস্য সংগ্রহ অভিযানের নেতৃত্ব দেবেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। তাঁর সহযোগী হিসেবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা দুষ্মন্ত গৌতম, সুরেশ পূজারি, অরুণ চতুর্বেদি এবং শোভা সুরেন্দ্রনকে নিয়োগ করা হয়েছে।’ দলীয় সূত্রের খবর, অমিত শাহের পর বিজেপির পরবর্তী সভাপতি হিসেবে জে পি নাড্ডা এবং ভূপেন্দ্র যাদবের নাম নিয়ে জোর জল্পনার সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু যেভাবে এবারের লোকসভা নির্বাচনে দলকে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছেন অমিত শাহ, তাতে চার রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীই বিজেপি সভাপতি থাকুন, এই মতই উঠে এসেছে বৈঠকে। সূত্রের খবর, বৈঠকে অমিত শাহ বলেছেন, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি একাই ৩০৩টি আসনে জয় পেলেও এটি সর্বোচ্চ নির্বাচনী দক্ষতার পরিচয় নয়। বরং সারা দেশে আরও ছড়িয়ে দিতে হবে বিজেপিকে। মজবুত করতে হবে সংগঠন।