গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
গত বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নেয়, ৩ জুলাই থেকে আরও ছ’মাসের জন্য উপত্যকায় রাজ্যপালের শাসন জারি থাকবে। ওই সময়কালে রাজ্যে কোনও নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে না বলে জানিয়ে দেয় কেন্দ্র। কিন্তু, নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত উপত্যকার একাধিক রাজনৈতিক দল দাবি করেছে, কেন্দ্র এই সিদ্ধান্ত রাজ্যের স্বার্থ মাথায় রেখে নেয়নি। ন্যাশনাল কনফারেন্সের সাধারণ সম্পাদক আলি মহম্মদ সাগর কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘আমরা রাজ্যে রাজ্যপালের শাসনের মেয়াদ বৃদ্ধির বিরোধিতা করছি। এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ওরা ইচ্ছে করে বিধানসভা ভোট পিছিয়ে দিচ্ছে। কারণ, ওরা জানে একটি নির্দিষ্ট দল এখানে বিপুল সমর্থন পাচ্ছে।’ অমরনাথ যাত্রার দোহাই দিয়ে বিধানসভা ভোট পিছিয়ে দেওয়ার যে কারণ দেখিয়েছে কেন্দ্র, তা অজুহাত ছাড়া কিছুই নয় বলেও দাবি করেন তিনি।
পাশাপাশি পিডিপির তরফে এই কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রবল বিরোধিতা করা হয়েছে। উপত্যকায় রাজ্যপালের শাসন জারির বিষয়টিকে ‘অগণতান্ত্রিক’ আখ্যা দিয়ে দলের অন্যতম শীর্ষনেতা নিজামুদ্দিন ভাট জানান, এই ধরনের সিদ্ধান্তে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে মানুষের বিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা খুঁজে পাচ্ছি না আমি। এতে রাজ্যের রাজনৈতিক নেতাদের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে।’
কংগ্রেস আবার এই রাজ্যপালের শাসনকে ‘বিজেপি-আরএসএস’ নিয়ন্ত্রিত বলে কটাক্ষ করেছে। রাজ্যের বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি মোঙ্গা বলেন, ‘এটা রাজ্যপালের শাসন নয়, বরং বিজেপি এবং আরএসএস রাজ্য পরিচালনা করছে।’ যদিও, বিজেপি স্বাভাবিকভাবেই এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। নির্বাচনের জন্য তারাও প্রস্তুত বলে দাবি করে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র সুনীল শেঠি বলেন, ‘রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন যদি আগে হয়, আমাদের কোনও আপত্তি নেই। আমরা নির্বাচনের জন্য ১০০ শতাংশ তৈরি। কিন্তু, বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের শাসনটা জরুরি ছিল।’