বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই তিন তালাক বিল পাশ করাতে সক্রিয় এনডিএ সরকার। আগামী সোমবার থেকে শুরু হবে সংসদের বাজেট অধিবেশন। সেই অধিবেশনেই রাজ্যসভায় সংশোধিত নতুন বিল পেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি মন্ত্রিসভা। বিহার অধিকার রক্ষা আইনে মুসলিম মহিলাদের সুরক্ষায় তাৎক্ষণিক তিন তালাক আইনত অপরাধ হিসেবে মান্যতা দিতে চায় বিজেপি সরকার। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর এবং চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফের একবার রাজ্যসভায় বিলটি পাশ করানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় কেন্দ্রীয় সরকার। লোকসভায় পাশ হলেও উচ্চকক্ষে বিরোধীদের বিরোধিতায় বিলটি শেষ পর্যন্ত বাতিল বিরোধীদের মতে, এতে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। একইমত জেডিইউয়ের।
এদিন জেডিইউয়ের প্রবীণ নেতা এবং রাজ্যের মন্ত্রী শ্যাম রাজাক জানান, জনতা দল ইউনাইটেড এই বিলের বিরোধিতা করবে। শুধু রাজ্যসভায় নয়, আগামী দিনেও আমরা তিন তালাক বিরোধী বিলের বিরুদ্ধে থাকব। তাঁর মতে, তিন তালাক একটি সামাজিক ইস্যু। সামাজিকস্তরেই এর সমাধান সম্ভব। তাই রাজ্যসভায় বিলটির বিরুদ্ধে তাঁদের এমপিরা ভোট দেবেন। এর আগে দলের নেতা তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার সংবাদমাধ্যমেও তিন তালাক বিলের বিরুদ্ধে সওয়াল করেন। শুধু তিন তালাক নয়। মোদি সরকারের অন্যতম পদক্ষেপ ৩৭০ ধারা বা অভিন্ন দেওয়ানি আইনের বিরুদ্ধে মতামত পোষণ করেন তিনি। চলতি সপ্তাহের শুরুতে নীতীশ কুমার বলেন, আমাদের মতে ৩৭০ ধারা বাতিল হওয়া উচিত নয়। পাশাপাশি, অভিন্ন দেওয়ানি আইন কোনও একজনের উপর আরোপ সঠিক বলে মনে করি না। আদালতের নির্দেশ মেনে বা আলোচনার মাধ্যমে অযোধ্যায় রামমন্দির ইস্যুর সমাধান জরুরি। জেডিইউয়ের বিরোধিতা নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। দ্বিতীয় মোদি সরকারের শুরুর দিন থেকেই অন্যতম শরিক দল জেডিইউয়ের সঙ্গে মতবিরোধ শুরু হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় মাত্র একজনকে মন্ত্রী করার বিরোধিতা করে নীতীশ কুমার জানান, তাঁর দলের কেউ মোদি সরকারের মন্ত্রিসভায় শামিল হবেন না। এরপর বিহারে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের সময় একইভাবে বিজেপির মাত্র একজনকে মন্ত্রী করার প্রস্তাব দিয়ে ‘মধুর বদলা’ নিয়েছিলেন তিনি। এরপর বিহারের মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, শুধুমাত্র রাজ্য ছাড়া দেশের অন্য কোথাও তাঁরা এনডিএর শরিক নন।
জেডিইউয়ের পাশাপাশি কংগ্রেসও এদিন ফের বিলটির বিরোধিতা করবে বলে জানাল। কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য এবং দলের মুখপাত্র অভিষেক মনু সিংভি জানান, তিন তালাক বিল নিয়ে আমরা কয়েকটি মৌলিক প্রশ্ন তুলেছি। সেই সব দিকগুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা এবং সরকারের সম্মতি প্রয়োজন। যদি সরকার আগেই বিষয়টি নিয়ে ভাবত, তাহলে এত সময় নষ্ট হত না। অনেক আগেই বিলটি পাশ হয়ে যেত।