পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মঙ্গলবার অরুণাচল প্রদেশের সিয়াং জেলার দুর্গম পার্বত্য এলাকা পেয়াম সার্কেলে বায়ুসেনার নিখোঁজ বিমান এএন ৩২-র ধ্বংসাবশেষ প্রথম নজরে আসে। ঘন অরণ্যে ঢাকা অরুণাচল প্রদেশের এই পার্বত্য এলাকায় মঙ্গলবার তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল বায়ুসেনার এমআই-১৭ ভি৫ হেলিকপ্টার। সঙ্গে ছিল বায়ুসেনার এমআই-১৭এস ও অ্যাডভান্স লাইট হেলিকপ্টারও। তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় গভীর অরণ্যের মধ্যে অনেকটা জায়গাজুড়ে পুড়ে যাওয়া গাছপালার অংশ চোখে পড়ে বায়ুসেনার এমআই-১৭ ভি৫ হেলিকপ্টারে থাকা একটি দলের। নজরে আসে বিমানের ধ্বংসাবশেষও। সরকারি সূত্র মারফৎ পাওয়া সেই ছবি দেখে বিশেষজ্ঞদের অনুমান, বিমানটি ভেঙে পড়ার পরই আগুন ধরে গিয়েছিল। তার ফলেই আশপাশের গাছগুলো ঝলসে যায়। বায়ুসেনা সূত্রে খবর, গভীর অরণ্যের মধ্যে দিয়ে দুর্গম ওই এলাকায় পৌঁছানো খুব সহজসাধ্য নয়। হেলিকপ্টার নামানোর জন্য যে পরিমাণ জায়গা প্রয়োজন, তাও নেই সেখানে। সেই কারণে বুধবার সকালে সেনা ও অসামরিক পর্বতারোহীদের একটি বিশেষ দলকে হেলিকপ্টার থেকে নামানো হয়েছে। ওই দলে ৮-১০ জন সদস্য রয়েছেন। তাঁরা হেঁটে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, উদ্ধারকাজে সুবিধার জন্য পশ্চিম সিয়াংয়ের কাইয়াংয়ে একটি বেস ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। চিকিত্সকদের একটি দলকেও সেখানে পাঠানো হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে চিকিত্সার জন্য জোরহাটের সেনা হাসপাতালকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
টানা আটদিন ধরে নিখোঁজ বিমান এএন ৩২-র হদিশ পেতে তল্লাশি চালাচ্ছে সেনাবাহিনীর বিশেষ দল। সেই দলের সঙ্গে স্থানীয় পর্বতারোহীদেরও যুক্ত করেছে সিয়াং জেলা প্রশাসন। বুধবার তাঁদের এই নিরন্তর পরিশ্রমের জন্য গোটা দলকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ইস্টার্ন এয়ার কম্যান্ডের কম্যান্ডিং-ইন-চিফ এয়ার অফিসার এয়ার মার্শাল আর ডি মাথুর। পাশাপাশি, সমস্ত ধরনের সহযোগিতার জন্য রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী পেমা খাণ্ডু ও মুখ্যসচিব সত্য গোপাকেও ধন্যবাদ জানান তিনি। আর ডি মাথুর বলেন, ‘যেভাবে নিরন্তর পরিশ্রম করে সকলে বায়ুসেনাকে সাহায্য করছে, তার জন্য আমরা গর্বিত।’