কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
রেলমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত গত ৯ জুন, রবিবার। ঘটনার সময় বারাণসী থেকে দিল্লিতে আসছিল ট্রেনটি। বারাণসী-দিল্লি রুটের এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের স্টপেজ রয়েছে দুটো। এলাহাবাদ এবং কানপুর। কানপুরেই যাত্রীদের মধ্যে খাবার পরিবেশন করা হয়। অভিযোগ, সেই খাবারেই দুর্গন্ধ পান সাধারণ যাত্রীরা। তা নিয়ে ট্রেনের মধ্যেই উত্তেজনা চরমে ওঠে। ফলে গোটা বিষয়টি অন্য মাত্রা পায়। এরপর যাত্রীদের মধ্যে থাকা ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক কর্নেলের অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা বিষয়টির তদন্ত শুরু করে রেল। তাতে দেখা যায়, প্রচণ্ড গরম সত্ত্বেও নন-এসি গাড়িতে খাবার নিয়ে প্ল্যাটফর্মে এসেছিলেন ওই পাঁচতারা হোটেলের কর্মীরা। যার ফলে নষ্ট হয়ে গিয়েছে খাবার। আর তা খেয়াল না করেই যাত্রীদের মধ্যে পরিবেশন করা হয়েছে। এরপরেই সংশ্লিষ্ট হোটেল কর্তৃপক্ষকে আর্থিক জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নেয় আইআরসিটিসি।
আজ এ ব্যাপারে আইআরসিটিসির জনসংযোগ আধিকারিক সিদ্ধার্থ সিং বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমের জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে। খাবার তৈরি হচ্ছে বাইরে। তা প্ল্যাটফর্ম পর্যন্ত নিয়ে আসার সময় যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, হোটেল কর্তৃপক্ষ তা নেয়নি। আমরা সমস্ত খাবার সরবরাহকারী হোটেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছি, অবিলম্বে যেন এই খাবার পরিবহণের বিষয়টি দেখা হয়। আশা করা যায়, এই ঘটনা আর ঘটবে না। কিন্তু ফের যদি ঘটে, তাহলে কঠোর থেকে কঠোরতম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। চুক্তি বাতিলও হতে পারে।’ উল্লেখ্য, দূরপাল্লার অন্য মেল/এক্সপ্রেস ট্রেন অথবা প্রিমিয়াম ট্রেনগুলির মতো বেস কিচেনে নয়, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রীদের জন্য প্রাতঃরাশ, মধ্যাহ্নভোজ, সান্ধ্যকালীন স্ন্যাক্স, নৈশভোজ আসে চুক্তিবদ্ধ বিভিন্ন পাঁচতারা হোটেল থেকে। এই চার্জ অবশ্য ধরা থাকে টিকিট মূল্যের সঙ্গেই। কিন্তু এই ব্যবস্থার ফলে স্বাভাবিক কারণেই দেশের প্রথম সেমি হাইস্পিড এই ট্রেনে কেটারিং চার্জও অনেকটাই বেশি। বেশি খরচ করেও কেন খাবারের গুণমান ঠিক থাকবে না, সেই প্রশ্নই উঠছে।