পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
তবুও রাহুলের অবস্থান এখনও স্পষ্ট হয়নি। দিন কয়েক পরেই শুরু হচ্ছে সংসদ অধিবেশন। লোকসভায় কার আসন কোথায় হবে, তা ঠিক করে লোকসভার সচিবালয়ে জমা দিতে হবে। তাই আপাতত রাহুলের ইস্তফার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা সরিয়ে রেখে সংসদীয় দলের স্ট্র্যাটেজির ওপর জোর দিচ্ছে কংগ্রেস। এতে একইসঙ্গে কৌশলে রাহুল গান্ধীর মন বদলের সময়ও দেওয়া হচ্ছে বলেই রাজনৈতিক মহলের মত। সেই মতো আজ কংগ্রেসের ‘ওয়াররুম’ বলে পরিচিত ১৫ গুরদোয়ারা রকাবগঞ্জ রোডে এ কে অ্যান্টনি, গুলাম নবি আজাদ, পি চিদম্বরম, আহমেদ প্যাটেলের মতো দলের শীর্ষ নেতারা বৈঠকে বসেন। সোনিয়া এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী রায়বেরিলিতে। তাই তাঁরা সেখানে ছিলেন না। দিল্লিতে থাকলেও বৈঠকে ছিলেন না রাহুল।
বৈঠকে প্রাথমিকভাবে আসন্ন চার রাজ্য মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড এবং জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা ভোট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। লোকসভায় এই চারটি রাজ্যেই মুখ থুবড়ে পড়েছে কংগ্রেস। তাই সেখান থেকে কীভাবে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব, তার প্রাথমিক রোডম্যাপ তৈরি হয়েছে। একইসঙ্গে ঠিক হয়েছে, লোকসভায় এবার মাত্র ৫২ জন এমপি জিতে এলেও মোটেই চুপ করে বসে থাকবে না দল। লোকসভার ৫২ এবং রাজ্যসভার ৫০ জন এমপি নিয়ে সরকারকে চেপে ধরা হবে। আর সংসদের ওই পারফরমেন্সই আসন্ন বিধানসভার ভোটে কাজে দেবে বলেই মনে করছে কংগ্রেস।
আর পারফরমেন্সে জোর দিতে রাহুল গান্ধীকেই লোকসভায় দলের নেতা করতে চাইছেন আহমেদ প্যাটেলরা। তাতে লোকসভায় প্রধান বিরোধী দল হিসেবে কংগ্রেসের গুরুত্ব বজায় থাকবে। রাহুল ছাড়া অন্য কোনও এমপিকে দলের নেতা করলে, সেই আকর্ষণ সাধারণের মধ্যেও থাকবে না বলেই মনে করেন দলের অধিকাংশ এমপি। দলের এমপি অধীররঞ্জন চৌধুরীর মন্তব্য, ‘ভোটে হারের জেরে রাহুল গান্ধীর সভাপতির পদ ছেড়ে দেওয়ার কোনও অর্থ নেই। ভোটে হারজিত হবেই। তাছাড়া ভোটে রাহুল গান্ধী পরিশ্রমের কোনও ঘাটতি ছিল না। দলও কোনও দোষ দেয়নি। তাই রাহুল গান্ধীর স্রেফ সভাপতি থাকাই নয়, লোকসভায় দলের নেতা তাঁকেই করা উচিত।’
তবে সেখানেও ‘চক্ষুলজ্জা’র ইস্যু তুলেছেন রাহুল গান্ধী। হাইকমান্ডের কোর সদস্যদের তিনি বার্তা দিয়েছেন, মা সোনিয়া গান্ধী সংসদীয় দলের নেত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। আবার তিনি যদি লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা হন, তাহলে দলের মধ্যে সমালোচনা হতে পারে। তাই অন্য কাউকে লোকসভায় দলের নেতা করা হোক। কারণ রাহুল চান, ‘ কংগ্রেস গান্ধী পরিবারের’ — এই তকমা ছেড়ে বেরিয়ে আসুক দল। তাই লোকসভায় হারের দায় গ্রহণ করে দলের সর্বোচ্চ গ্রহণের কমিটি ‘কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি’র বৈঠকে ইস্তফার ইচ্ছাপ্রকাশ করার পরেই তিনি বলেছিলেন, নতুন কাউকে সভাপতি খুঁজুন। এবং তা যেন গান্ধী পরিবারের বাইরে কেউ হয়। এখন দেখার সভাপতির ইস্যুটি আপাতত সরিয়ে রাখলেও শেষমেশ রাহুলকে দলের লোকসভার নেতা হতেও রাজি করাতে পারেন কি না সোনিয়া। কারণ সংসদীয় দলের নেত্রী হিসেবে সংসদের টিম সাজানোর দায়িত্ব তাঁর ওপরই।