গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সর্বশেষ আবহাওয়া রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বেরাবল উপকূল থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণে একটি ঘূর্ণিঝড় অবস্থান করছে। এটি ক্ষমতা বাড়িয়ে উত্তরদিকে বাঁক নিয়ে ১৩ জুন গুজরাত উপকূলে আছড়ে পড়বে। গুজরাত আবহাওয়া দপ্তরের ডিরেক্টর ডঃ জয়ন্ত সরকার জানিয়েছেন, বেরাবলের কাছে পোরবন্দর এবং মাহুবার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ঢুকবে। তখন ঝড়ের গতিবেগ হবে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। ১৩ জুন ঝড়ের গতি আরও বেড়ে ১৩৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। সাইক্লোন ফণীর মোকাবিলা করে সব মহলের প্রশংসা কুড়িয়েছে ওড়িশা সরকার। গুজরাত সরকারের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় বায়ুর মোকাবিলায় ওড়িশা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে এক আধিকারিক জানিয়েছেন। পুরো তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি স্বয়ং। তাঁর কথায়, ‘১৩ এবং ১৪ জুন আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ত্রাণ এবং উদ্ধার কাজের জন্য সেনা, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ), উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। মানুষের ক্ষয়ক্ষতি রুখতে বুধবার থেকেই আমরা উপকূলের মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরানোর কাজ শুরু করব।’ অপরদিকে গুজরাতের উপকূল এবং পরিবহণ দপ্তরের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি সুনাইনা তোমর জানিয়েছেন, রাজ্যের সব বন্দরে বিপর্যয় মোকাবিলা পরিকল্পনা চালু করা হয়েছে। সব বন্দরেই বসানো হয়েছে পাওয়ার জেনারেটর। কার্গো এবং রো রো ফেরি পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। যে সমস্ত মৎস্যজীবী সমুদ্রে গিয়েছেন, তাঁদের ফিরে আসতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে দক্ষিণ গুজরাতের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হবে। ১২, ১৩ এবং ১৪ জুন গুজরাতে ঘূর্ণিঝড়ের দাপট থাকবে বলে জানানো হয়েছে।