গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এদিন বিকেলে আমেদাবাদে যান প্রধানমন্ত্রী। বিমানবন্দরের কাছেই সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মূর্তিতে মালা দিয়ে শহরে রোড শো করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এবং গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি। রাস্তায় প্রধানমন্ত্রীকে দেখার জন্য ভিড় জমিয়ে ছিলেন বহু সাধারণ মানুষ। পরে বিজেপির দপ্তরে মোদি-অমিত শাহকে সংবর্ধনা জানানো হয়। সেখানেই কর্মিসভা করেন মোদি।
গুজরাতের মানুষের দর্শন পেতেই তিনি জয়ের পর প্রথমে নিজের রাজ্যে এসেছেন বলে সভায় জানান প্রধানমন্ত্রী। সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী পাঁচ বছর জন ভাগীদারি (মানুষের অংশীদারিত্ব) এবং জনচেতনার বছর হবে। এখানকার খানপুরের বিজেপি অফিস থেকেই আমি একটি সংগঠনের সংস্কার শিখেছি। তাই আমি বারবার এখানে ফিরে আসি। প্রচার শুরুর কয়েকদিনের মধ্যেই বুঝতে পেরেছিলাম আমার প্রচারের সামনে বিজেপি বা এনডিএ নয়, ভারতের মানুষ রয়েছে।’
এবারের লোকসভা নির্বাচনে সরকারবিরোধী হাওয়ার লেশমাত্র ছিল না। বিষয়টি এদিন নিজের ভাষণে তুলেও ধরেছেন মোদি। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের ষষ্ঠ দফার পরেই আমি বলেছিলাম ৩০০-র বেশি আসন পাব আমরা। তখন আমাকে লোক ব্যঙ্গ করেছিল। কিন্তু ফল ঘোষণা হতেই মানুষ সত্যিটা দেখতে পাচ্ছে।’
কম বয়সেই বাড়ি ছেড়ে ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু মায়ের জন্য টান তাঁর রয়েই গিয়েছে। প্রতিটি নির্বাচনের আগেই মা হীরাবেনের সঙ্গে দেখা করে তাঁর আশীর্বাদ নিতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। এবারও তাঁর ব্যতিক্রম হয়নি। মায়ের আশীর্বাদ নিতে তিনি আমেদাবাদ আসছেন বলে শনিবারই ট্যুইট করেছিলেন মোদি। ৯৮ বছর বয়সি হীরাবেন থাকেন ছোট ছেলে পঙ্কজের সঙ্গে। এদিন কর্মিসভা শেষের পর মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি। গুজরাতের পর নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্র বারাণসীতে যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।