পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, যাঁরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হচ্ছেন, তাঁরা কেউই এবার আগাম সেই খবর পাবেন না। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের ঠিক আগের দিন সংশ্লিষ্ট এমপিকে ফোন করে বলা হবে, বৃহস্পতিবার মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে হবে তাঁকে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে মোদি-অমিত শাহ জুটির এহেন পরিকল্পনায় স্বাভাবিকভাবেই আশা-আশঙ্কার দোলাচলে এখন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের প্রহর গুণছেন এনডিএর সংসদ সদস্যরা। প্রথা যাই হোক না কেন, মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ পদগুলিতে কারা কারা থাকতে পারেন, সেই খবর মোটামুটি আগেই অনেকাংশে ফাঁস হয়ে যায়। কিন্তু মোদি সাফ বুঝিয়ে দিয়েছেন, এবার তেমন কিছু হবে না। অর্থাৎ পুরোটাই সাসপেন্স। নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ জুটি মন্ত্রিসভার যে তালিকা চূড়ান্ত করেছেন বা করছেন, তা প্রকাশ্যে আসবে ২৯ মে। তবে বিভিন্ন রাজ্য থেকে বিজেপি তথা এনডিএ শরিক এমপিদের ‘বায়ো ডেটা’ আনানো চলছে। এ ব্যাপারে সন্দেহ নেই, যাঁদের বিস্তারিত মোদি চেয়ে পাঠাচ্ছেন, তাঁরা অবশ্যই মন্ত্রিত্বের দৌড়ে থাকছেন। আবার এই লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে মোট ১৮ জন এমপি পেয়েছে বিজেপি। যাঁদের মধ্যে ১৬ জনই নতুন। ফলে মোদির মন্ত্রিসভায় বাংলা থেকে নতুন মুখ কতজন হবেন, তা নিয়েও জল্পনা একেবারে তুঙ্গে উঠেছে।
বিজেপি সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গ এবং জঙ্গলমহল থেকে অবধারিতভাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় স্থান পাচ্ছে বাংলা। যেহেতু বিশেষ করে উত্তরবঙ্গ এবং জঙ্গলমহলে অবিশ্বাস্য ভালো ফল করেছে বিজেপি। নতুন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যদের সম্ভাব্য তালিকায় জঙ্গলমহলের ক্ষেত্রে প্রবল জল্পনা ছড়িয়েছে বাঁকুড়ার বিজেপি এমপি ডাঃ সুভাষ সরকারের নাম নিয়ে। বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী তথা হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি এমপি লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং রায়গঞ্জের দলীয় সংসদ সদস্য দেবশ্রী চৌধুরীর নাম নিয়েও চলছে জল্পনা। বিজেপির অন্দরের খবর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা গঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে যাবতীয় রাজনৈতিক সমীকরণের উপর। পাশাপাশি সামাজিক সমীকরণের অঙ্কও চলছে সমানতালে। আর সেই পরিপ্রেক্ষিতেই বাংলার মতুয়া সম্প্রদায়ের আরও কাছে পৌঁছতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হতে পারে বনগাঁর নবনির্বাচিত বিজেপি এমপি ঠাকুরবাড়ির সদস্য শান্তনু ঠাকুরকে। বিজেপির এক বাংলার এমপি জানিয়েছেন, আগামী ৩০ মে নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান পর্যন্ত তাঁদের দিল্লিতে থেকে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় পার্টি।