রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
লোকসভায় সংসদ সদস্যরা নির্বাচনে জিতে এলেও রাজ্যসভার ক্ষেত্রে নিয়মটা কিছুটা আলাদা। রাজ্যসভার সদস্যদের নির্বাচিত করেন বিধায়করা। যে দলের হাতে বিধায়কদের সংখ্যা যত বেশি, সেই দলের তরফে তত বেশি সংখ্যক প্রার্থীকে রাজ্যসভায় পাঠানোর সুযোগ থাকে। রাজ্যসভার সদস্যদের মেয়াদ ছ’বছরের জন্য হলেও তাঁদের সকলের নির্বাচন একই সময়ে হয় না। গত বছর প্রথমবারের জন্য সংসদের উচ্চকক্ষে সদস্য সংখ্যার বিচারে কংগ্রেসকে টপকে যায় বিজেপি। ২৪৫টি আসনের রাজ্যসভায় বিজেপির সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় ১০১ জন। পাশাপাশি, মনোনীত তিন সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত, মেরি কম ও নরেন্দ্র যাদব এবং তিনজন নির্দল সাংসদের সমর্থন পাওয়ায় এনডিএর পক্ষে মোট সাংসদ দাঁড়ায় ১০৭ জন। আগামী বছর ইউপিএ মনোনীত সাংসদ কেটি এস তুলসীর মেয়াদ শেষ হবে। সেই পদে নতুন একজনকে মনোনীত করে রাজ্যসভায় আনার সুযোগ রয়েছে এনডিএর হাতে।
জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের নভেম্বর মাসের মধ্যে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, তামিলনাড়ু, গুজরাত ও মধ্যপ্রদেশ সহ মোট ১৪টি রাজ্য থেকে আরও ১৯টি আসন হাতে আসবে এনডিএর। ফলে রাজ্যসভার মোট আসনের অর্ধেক (১২৩টি আসন) আসন পেরিয়ে এনডিএর হাতে আসবে ১২৫টি আসন। গত ১৫ বছরে কোনও কেন্দ্রীয় সরকারে ক্ষমতাসীন দল সংসদের উচ্চকক্ষে এই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এর মধ্যে অধিকাংশ আসনই আসবে উত্তরপ্রদেশ থেকে। কারণ, ৪০৩ জন বিধায়কের মধ্যে এনডিএর পক্ষে রয়েছেন ৩১০ জন বিধায়ক। পাশাপাশি, এআইএডিএমকের সঙ্গে জোট গড়ার ফলে তামিলনাড়ু থেকে ছ’টি আসন, অসম থেকে তিনটি, রাজস্থান থেকে দু’টি আসন এনডিএর হাতে আসতে চলেছে। ওড়িশায় বিজেডির সহযোগিতা পেলে সেখান থেকে আরও একটি আসন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও কর্ণাটক, মিজোরাম, মেঘালয়, হিমাচলপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড থেকে একটি করে আসন মোদি-অমিত শাহ জুটির হাতে আসবে। অপরদিকে, রাজস্থান, বিহার, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড় থেকে পাওয়া আসনগুলি হারাবে এনডিএ।
এবছর পরের দিকে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা ও ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন। এই তিনটি রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসের মধ্যে সংসদের উচ্চকক্ষে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএর আসন সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, এখন থেকে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসের মধ্যে রাজ্যসভায় ৭৫টি আসন ফাঁকা হবে। ২০২০ সালের মধ্যে এনডিএ রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে পরবর্তী চার বছর তা বজায় থাকবে। এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন সংসদ বিষয়ক সচিব আফজল আমানুল্লা বলেন, ‘গত কয়েক বছরে কিছু সাংসদের বিরোধিতায় বিল পাশ আটকে যাওয়ার মতো ঘটনা দেখা গিয়েছে। কিন্তু আগামী পাঁচ বছরে এনডিএকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে একাধিক পরিবর্তন আনতে হবে।’