গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
শনিবার বিজয়ওয়াড়ায় ওয়াই এস আর কংগ্রেসের নব নির্বাচিত বিধায়কদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই দলের প্রধান জগন্মোহন রেড্ডিকে সর্বসম্মতিক্রমে ওয়াই এস আর কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা নির্বাচন করা হয়। এরপর বিজয়ওয়াড়া থেকে জগন হায়দরাবাদ উড়ে আসেন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার জন্য। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ রাজভবনে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল এ এস এল নরসিমহনের কাছে সরকার গড়ার দাবি জানান তিনি। এর আগে বিজয়ওয়াড়ায় দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে জগন বলেন, ‘২০১৯ সালে মানুষ অনেক বিশ্বাস এবং ভরসা করে আমাদের ভোট দিয়েছেন। ২০২৪ সালে তাঁরা আমাদের কাজ দেখে আরও বেশি ভোট দেবেন।’ বিধায়কদের কাছে জগনের আর্জি, ‘এক বছরের মধ্যে আমাকে কাজের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে উঠতে সহায়তা করুন।’
পরিষদীয় বৈঠকের শেষে ওয়াই এস আর কংগ্রেসের সংসদীয় দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দলের রাজ্যসভা এবং লোকসভার সংসদ সদস্যদের সঙ্গে নানা বিষয়ে মতামত বিনিময় করেন জগন। সংসদ সদস্যদের ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক প্রসঙ্গে নব নির্বাচিত সংসদ সদস্য গোরানতলা মাধব বলেন, ‘আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে রাজ্যর জন্য বিশেষ মর্যাদা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ পুনর্গঠন আইনে নির্দেশিত সুবিধার দাবিতে যেন একজোট থাকি।’ পাশাপাশি ভগবানের নাম করে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলুগু দেশম পার্টির প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডুকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তাঁর কথায়, ‘২০১৪ সালে আমাদের ২৩ জন বিধায়ককে কিনে নিয়েছিলেন চন্দ্রবাবু। এখন টিডিপি ২৩টি আসন পেয়েছে। আরও ভোটের ফল বেরিয়েছে ২৩ মে। ঈশ্বর ২৩ নিয়ে সুন্দর একটি চিত্রনাট্য লিখে রেখেছেন।’ তিনি আরও বলেন, চন্দ্রবাবু ওয়াই এস আর কংগ্রেসের তিনজন সংসদ সদস্যকে ভাঙিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। এখন টিডিপির সংসদ সদস্য মাত্র তিন। ৫০ শতাংশ ভোট প্রাপ্তি কোনও সাধারণ ঘটনা নয় জানিয়ে জগন বলেছেন, ওয়াই এস আর কংগ্রেসের সাফল্য স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।