বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
এই লোকসভা নির্বাচনে গোটা রাজ্যে শুধুমাত্র থেনি আসনে জয় পেয়েছে প্রয়াত আম্মার দল। আর এককভাবে ২০টিতে লড়াই করে ২০টিতেই জয় হাসিল করেছেন স্ট্যালিন-কানিমোঝিরা। আইজেকে, এমডিএমকে, ভিসিকের মতো ছোট জোটসঙ্গীরা ডিএমকের প্রতীক ‘উদীয়মান সূর্য’ নিয়ে লড়াই করে জয় ছিনিয়ে নেওয়ায় ২৩টি আসনে জয়ী হয়ে এবার সংসদে দেশের তৃতীয় শক্তিশালী দল হিসেব আত্মপ্রকাশ করছে ডিএমকে। উল্লেখযোগ্য ঘটনা হল, সিপিআই এবং সিপিএম বাংলায় ধুয়েমুছে সাফ হলেও তামিলনাড়ুতে লালপার্টি কিন্তু বাজিমাত করেছে ভোট লড়াইয়ে নামা চারটি আসনেই। নাগাপাত্তিনামে ও তিরুপ্পুরে জিতেছে সিপিআই। মাদুরাই ও কোয়েম্বাটুরে সিপিএম।
অন্যদিকে এত বড় হারের পরও এআইএডিএমকের একটাই স্বস্তি। বিরাট হম্বিতম্বি হলেও তৃতীয় শক্তি হিসেবে কুল-ঠাঁই কিছুই পেলেন না জয়ললিতার ‘প্রিয়শখী’ শশীকলার ভাইপো দিনাকরণ। না আসন পেলেন লোকসভায়, না বিধানসভা উপনির্বাচনে। তাই ২২টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ন’টি পেয়ে আপাতত বড়সড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেল এআইএডিএমকে জোটশাসিত বর্তমান তামিলনাড়ু সরকার। তবে উপনির্বাচনেও ডিএমকে ঝড় অব্যাহত। ২২টির মধ্যে ১৩টিতেই জয়ী তারা। ফলে রাজ্য রাজনীতির লড়াইটা কিন্তু রয়ে গেল ৭০ বছর ধরে চলে যুযুধমান দুই শিবিরের মধ্যেই।
লোকসভার ফল দেখে বৃহস্পতিবার বিকেলে মাদুরাইয়ের ব্যবসায়ী এস সুগুমারন বলেন, ‘২০১৮ সালে ঘূর্ণিঝড়ের সময় তামিলনাড়ুতে একবারও আসার প্রয়োজন মনে করেননি প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যবাসী তার জবাবই দিয়েছে।’ ডিএমকের মুখপাত্র এস সর্বানন বলেন, ‘এ জয় প্রত্যাশিতই ছিল।’ এআইএডিএমকে মুখপাত্র নির্মলা পেরিয়াসময় বলেন, ‘কোনও কারণে দেশ বিজেপিকে গ্রহণ করলেও, রাজ্যবাসী করেননি। তবে উপনির্বাচনের ফল থেকে স্পষ্ট, আমাদের সরকার ভাঙছে না।’
অন্যদিকে সাধারণ মানুষের হাবভাব-বোলচাল দেখে মনে করাই হচ্ছিল, তামিলনাড়ুতে যেমন ডিএমকের বিপুল জয় আসছে, তেমনই কর্ণাটকে বিরোধী জেডিএস-কং জোটকে ধুয়ে মুছে সাফ করতে চলেছে মোদি ঝড়। হলও তাই। কর্ণাটকের ২৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২৫টিরই দখল নিয়েছে ‘ইয়েদুরাপ্পা অ্যান্ড কোং’। একটি করে আসন পেয়েছে কংগ্রেস ও জেডিএস। যেখানে এতদিন কর্ণাটকে ১৬টি লোকসভা আসন ছিল বিজেপির দখলে, কং-জেডিএস ছিল ১২টিতে। আকর্ষণীয় লড়াইয়ে বাকি আসনটি জিতেছেন বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থী সুন্দরী দক্ষিণী অভিনেত্রী সুমালতা।
এখানকার লড়াইয়ের ময়দানে বিরোধীদের আরও শোচনীয় অবস্থা হয়েছে একের পর এক সুপারস্টার প্রার্থীদের হারে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জেডিএস সুপ্রিমো এইচ ডি দেবেগৌড়া হেরেছেন টুমকুর থেকে, গুলবর্গা থেকে লোকসভায় বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের মল্লিকাজুর্ন খাড়গে, চিকবল্লপুর থেকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বীরাপ্পা মৌলি, মাণ্ড্য থেকে দেবেগৌড়ার নাতি তথা কুমারস্বামী পুত্র নিখিল—হেভিওয়েটদের হারের লজ্জার মিছিল নেমেছে কন্নড়ভূমিতে। নিখিলের সঙ্গে সুন্দরী সুমালতার লড়াইয়ের দিকে গোটা দেশের নজর ছিল। সুমালতাও প্রমাণ করে দেখালেন শুধু গ্ল্যামারে নন, রাজনীতিতে প্রয়াত মেগাস্টার স্বামী অম্বরীশের পথেই হাঁটছেন তিনি। কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী জোটের প্রধান মুখ সিদ্ধারামাইয়ার ‘হোমটাউন’ মাইসুরুতেও জয় অব্যাহত বিজেপির। ফলে ডাকসাইটে কংগ্রেস নেতার রাজনৈতিক ভবিষ্যতই প্রশ্নচিহ্নের মুখে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাইসুরু বিজেপির মিডিয়া ইনচার্জ প্রভাকর সিন্ধে বলেন, ‘আমাদের দক্ষিণ বিজয়ের এই তো সবে শুধু। দেখুন না আর কী কী হয়!’