পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
দ্বিতীয়বারও নিজের আসন মথুরা ধরে রাখতে সমর্থ হয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী হেমা মালিনী। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রীয় লোক দলের (মহাজোট) প্রার্থী কুঁয়ার নরেন্দ্র সিংকে প্রায় তিন লক্ষ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন তিনি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের খাসতালুক গোরক্ষপুর কেন্দ্রে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সমাজবাদী পার্টির (মহাজোট) প্রার্থী রাম ভুওয়াল নিষাদকে তিন লক্ষেরও বেশি ভোটে হারিয়েছেন রবি কিষাণ। গত বছরই কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন এই তারকা।
কিন্তু প্রবল মোদি হাওয়া কাজ করেনি বলিউড অভিনেত্রী জয়া প্রদা এবং ভোজপুরী তারকা নিরহুয়ার ক্ষেত্রে। তবে উত্তরপ্রদেশের তারকা প্রার্থীদের মধ্যে সবথেকে বড় ব্যবধানে হেরেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজ বব্বর। ফতেপুর সিক্রি আসনে বিজেপির রাজকুমার চাহারের কাছে চার লক্ষ ৯৫ হাজার ৬৫টি ভোটে পরাজিত হয়েছেন তিনি। রাজ্যের দলের করুণ দশার দায় নিজের কাঁধে নিয়ে কংগ্রেস সভাপতির কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন রাজ বব্বর। সমাজবাদী পার্টির দুর্গ রামপুর কেন্দ্রে বিতর্কিত নেতা আজম খানের বিরুদ্ধে লড়াইটা কঠিন ছিল জয়া প্রদারও। মহাজোট প্রার্থী আজমের কাছে এক লক্ষেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে হেরে গিয়েছেন তিনি। লখনউ আসনে বিজেপির রাজনাথ সিংয়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন প্রাক্তন অভিনেত্রী তথা অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহার স্ত্রী পুনম সিনহা। প্রত্যাশামতোই প্রায় তিন লক্ষ ৪০ হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছেন তিনি।
আজমগড়ে বিজেপি প্রার্থী নিরহুয়াকে দু’লক্ষ ৫৯ হাজার ৮৭৪ ভোটে হারিয়েছেন এসপি সভাপতি অখিলেশ যাদব। মৈনপুরী কেন্দ্রে ৯৪ হাজার ৩৮৯ ভোটের ব্যবধানে বিজেপির প্রেম সিং শাক্যকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন মুলায়ম সিং। কনৌজ, বদায়ুন এবং ফিরোজাবাদ আসনে বিজেপি প্রার্থীদের কাছে পরাজিত হয়েছেন অখিলেশের স্ত্রী ডিম্পল এবং তুতো ভাই ধর্মেন্দ্র এবং অক্ষয়। তাঁদের পরাজয়ের ব্যবধান যথাক্রমে, ১২ হাজার ৮৫৩, ১৮ হাজার ৪৫৪ এবং ২৮ হাজার ৭৮১। এসপি-র প্রাপ্ত ভোটের হারও ২২.৩৫ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১৭.৯৬ শতাংশ।
অন্যদিকে, প্রবীণ নিষাদ এবং কুঁয়ার দানিশ আলি ছাড়া ভোটের আগে দল বদল করে প্রার্থী হওয়া উত্তরপ্রদেশের কোনও নেতা-নেত্রীই এবার জেতেননি। যোগী আদিত্যনাথের ছেড়ে যাওয়া গোরক্ষপুর আসনে গত উপনির্বাচনে জিতেছিলেন এসপি-বিএসপি জোট প্রার্থী প্রবীণ নিশাদ। এবার দল বদল করে বিজেপির টিকিটে সন্ত কবীরনগর থেকে জয়ী হয়েছেন তিনি। একইভাবে, জেডি(এস) থেকে বিএসপি-তে যোগ দিয়ে আমরোহা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন দানিশ। নির্বাচনের আগে বিভাজনের রাজনীতি করছে, এই অভিযোগ তুলে দল ছেড়েছিলেন সাবিত্রী বাই ফুলে। কংগ্রেসের টিকিটে প্রার্থী হয়ে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে তাঁর। রায়বেরিলিতে ইউপিএ সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন কংগ্রেস ছেড়ে আসা দীনেশ প্রতাপ সিং। পরাজয়ের ব্যবধান কমালেও ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। এরইরকমভাবে সফল হননি বিজেপি ছেড়ে এসপিতে আসা বিদায়ী সাংসদ শ্যামচরণ গুপ্তা, রামচরিত্র নিষাদ, বিএসপি ছেড়ে কংগ্রেসে যাওয়া কৈসর জাহান, নাসিমুদ্দিন সিদ্দিকি, এসপি ছেড়ে কংগ্রেসে যাওয়া রাকেশ সাচান, বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যাওয়া অশোক কুমার ডোহরেরাও।