পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ভারতের মাটিতে আল কায়েদার মদতপুষ্ট সক্রিয় জঙ্গি সংগঠন আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দের প্রধান ছিল জাকির মুসা। ২০১৬ সালে বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর হিজবুল মুজাহিদিনের কমান্ডার করা হয় জাকিরকে। পরে অবশ্য হিজবুল থেকে বেরিয়ে আলাদা সংগঠন তৈরি করে সে। ২০১৭ সালে একটি ভিডিও প্রকাশ করে মুসা জানিয়েছিল, সশস্ত্র আন্দোলনের মাধ্যমে কাশ্মীরে খলিফা শাসন জারি করাই তার মূল উদ্দেশ্য। বৃহস্পতিবারের অভিযান সম্পর্কে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র রাজেশ কালিয়া জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ত্রালের দাদসারায় অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। দু’পক্ষের সংঘর্ষে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়। শুক্রবার সকালে তাদের দেহ উদ্ধার হয়। নিহত ওই জঙ্গিদের মধ্যে একজন যে জাকির মুসা, সে বিষয়ে তাঁরা নিশ্চিত বলে জানান ওই মুখপাত্র। এমনকী, নিহত জাকিরের পরিবারও দাবি করেছে, ঘটনার সময় ওই এলাকাতেই ছিল সে।
এ প্রসঙ্গে পুলিসের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, দাদসারা গ্রামে তল্লাশি অভিযান চালাতে গিয়েই জঙ্গিদের উপস্থিতি আঁচ করেছিল বাহিনী। জঙ্গিরাও বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে এলাকা ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করে। বাহিনীর তরফে প্রথমে তাদের আত্মসমর্পণ করার প্রস্তাব দেওয়া হলেও জঙ্গিরা তাতে কান দেয়নি। উল্টে তারা বাহিনীকে লক্ষ্য করে লঞ্চার দিয়ে গ্রেনেড ছুঁড়তে থাকে। জঙ্গিরা যাতে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে পালাতে না পারে, তার জন্য ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত বাহিনীকে ডেকে পাঠানো হয়। বেশ কিছুক্ষণ দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলার পর সাফল্য পায় বাহিনী। মৃত্যু হয় জাকির সহ আরও এক জঙ্গির। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হয়েছে বলে জানান ওই আধিকারিক।
এদিকে, মুসার মৃত্যুর পর বৃহস্পতিবার রাত থেকেই সোপিয়ান, পুলওয়ামা, অবন্তীপোরা এবং শ্রীনগরের বেশকিছু এলাকায় মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সরব হন। মুসার সমর্থনে স্লোগানও দেওয়া হয়। যার ফলে প্রশাসন উপত্যকার বেশকিছু এলাকায় কার্ফু জারি করতে বাধ্য হয়। আপাতত পুলওয়ামা, শ্রীনগর, অনন্তনাগ এবং বদগাঁও জেলায় ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। এই এলাকার সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে গোটা কাশ্মীরের মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবারের নামাজের কথা মাথা রেখেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।