বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বিরোধী শিবিরের ক্ষেত্রে ‘বাপ কা বেটা’র প্রবাদ এবার প্রায় ধরাশায়ী। ভোটের ‘ব্যাটলে’ পিতৃনাম রক্ষা করলেন ‘বেটি’রা। হারের তালিকার শুরুতেই রয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। কেরলের ওয়ানাড় আসনে জিতলেও গান্ধী-নেহরু পরিবারের খাসতালুক আমেথিতে ভরাডুবি হয়েছে রাজীব-পুত্রের। হার বাঁচাতে পারেননি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের ছেলে বৈভবও। কংগ্রেস প্রার্থী বৈভব হেরেছেন যোধপুর আসনে। আমেথিতে রাহুল গান্ধীকে ৫৫ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। আর যোধপুরে বৈভব ২ লক্ষ ৭০ হাজারের বেশি ভোটে হেরেছেন বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতের কাছে।
বিরোধী শিবিরে তারকা পতনের সাক্ষী মধ্যপ্রদেশও। সেখানে গুনা আসন থেকে হারতে হয়েছে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে। ১৯৯৯ সাল থেকে এই আসনটি কংগ্রেসের দখলে ছিল। গতবার এই গুনা থেকেই জিতেছিলেন জ্যোতিরাদিত্য। কিন্তু এবার গুনা মুখ ফিরিয়ে নিল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মাধবরাও সিন্ধিয়ার ছেলের দিক থেকে। রাজস্থানের বারমের আবার অভিনব ঘটনার সাক্ষী রইল। এই আসনে কংগ্রেসের টিকিটে প্রার্থী হয়েছিলেন বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য যশবন্ত সিংয়ের ছেলে মানবেন্দ্র। বিজেপি প্রার্থীর কাছে ৩ লক্ষ ২০ হাজারের বেশি ভোটে হেরেছেন যশবন্ত-পুত্র। মহারাষ্ট্রেও একঝাঁক নামজাদা নেতার ছেলেদের হারতে হয়েছে এবার। এই তালিকায় রয়েছেন অজিত পাওয়ারের ছেলে পার্থ, মুরলী দেওয়ার পুত্র মিলিন্দ দেওরা ও শঙ্কররাও চৌহানের ছেলে অশোক চৌহান। তাঁরা হেরেছেন যথাক্রমে মাভাল, মুম্বই দক্ষিণ ও নান্দেদ আসন থেকে। এনসিপি প্রার্থী পার্থকে হারতে হয়েছে দু’লক্ষের বেশি ভোটের ব্যবধানে। কংগ্রেসের টিকিটে মিলিন্দ দেওরা হেরেছেন লক্ষাধিক ভোটে। কংগ্রেস নেতা অশোক চৌহান হেরেছেন ৪০ হাজার ভোটের ব্যবধানে। কর্ণাটকের মাণ্ড্য আসনে হেরেছেন জেডিএস প্রার্থী নিখিল কুমারস্বামী। তিনি মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর ছেলে। মাণ্ড্যতে নিখিল হেরেছেন ১ লক্ষ ২৫ হাজার ভোটে।
নেতা-পুত্ররা নাম ডোবালেও মান বাঁচিয়েছেন কন্যারা। মহারাষ্ট্রের বারামতী আসনে জিতেছেন এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ারের মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে। তিনি বিজেপি প্রার্থীকে দেড় লক্ষাধিক ভোটে হারিয়েছেন। দক্ষিণে আবার জয় পেয়েছেন তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম করুণানিধির মেয়ে কানিমোঝি। থুথুকুড়ি আসনে তিনি ৩ লক্ষ ৪৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন।