বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এমনিতেই সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে এবারের লোকসভা নির্বাচনে মোট ৫৪২টি আসনের মধ্যে মাত্র ৭১টিতে প্রার্থী দিতে পেরেছে সিপিএম। এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত যা ফলাফল পাওয়া গিয়েছে, তাতে সিপিএম সারা দেশে মাত্র তিনটি আসনে জয়ী হয়েছে। কেরলের আলাপ্পুঝা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন সিপিএম প্রার্থী এ এম আরিফ। তামিলনাড়ুতে দুটো আসনে জিতেছে সিপিএম। কোয়েম্বাত্তোরে জিতেছেন সিপিএম প্রার্থী পি আর নটরাজন এবং মাদুরাইয়ে জিতেছেন এস ভেঙ্কটেশ্বর। এই তিনটি আসন ছাড়া সারা দেশে আর কোথাও বিন্দুমাত্র দাগই কাটতে পারেনি সিপিএম। পশ্চিমবঙ্গের যে দুটি আসনে গত লোকসভা নির্বাচনে জয় হাসিল করেছিল সিপিএম, সেই রায়গঞ্জ এবং মুর্শিদাবাদ দুটি আসনেই কার্যত ভরাডুবি হয়েছে সিপিএমের।
তবে দলের কাছে সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, সিপিএম শাসিত কেরলেই আসন সংখ্যা একধাক্কায় এতটা কমে যাওয়া। লোকসভা নির্বাচনের পর্বে বিভিন্ন সময় দলের বৈঠকে সিপিএম নেতারা স্পষ্টই জানিয়েছিলেন, বাংলা বা ত্রিপুরাতে দলের ক্ষতি হলেও তা পূরণ করবে কেরল। গতবারের থেকে আসনও বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু তা না হওয়া সিপিএম শিবিরের কাছে একটি বড় ধাক্কা। যা এদিন স্বীকার করে নিয়েছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। তিনি বলেছেন, ‘লোকসভা নির্বাচনের এই ফলাফল আমাদের কাছে অত্যন্ত বড় বিপর্যয়। কেন এই ফল হল, তা আমরা অবশ্যই খতিয়ে দেখব। তবে কেন্দ্রে বিজেপিকে হটিয়ে যে বিকল্প গণতান্ত্রিক এবং ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিশালী সরকার গড়ার কথা ভাবা হয়েছিল, এই ফলাফলে তা কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে পড়ে গেল।’ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে কয়েক লাইনের একটি বিবৃতিও জারি করে সিপিএম পলিটব্যুরো। ফলাফল বিশ্লেষণে আগামী সপ্তাহেই দু’দিনের পলিটব্যুরো বৈঠকে বসতে চলেছে দল