কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুরো পথটা অবশ্য হুডখোলা জিপে চেপে রোড শো করে আসেননি অমিত শাহ। বিজেপি দপ্তরের সামনে এসে চড়েছেন তাতে। ব্যবস্থা করা হয়েছে জোড়া ঘোড়ারও। লোকসভার নির্বাচনী ফলাফল স্পষ্ট হতে না হতেই একের পর এক ট্যুইট করে বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের উচ্ছ্বাসের সুরটা বেঁধে দিয়েছেন অমিত শাহ। ট্যুইটে বিরোধীদের তুমুল তোপ দেগে তিনি বলেছেন, ‘প্রতিপক্ষদের দুর্নীতি, মিথ্যে, ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং ইস্যুবিহীন রাজনীতির বিরুদ্ধে দেশের মানুষ এই রায় দিয়েছেন। এই ফল প্রমাণ করে দিচ্ছে, দেশের মানুষ জাতিবাদ, পরিবারবাদ এবং পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতির বিরোধী। বরং তাঁরা বিকাশবাদ এবং রাষ্ট্রবাদকেই বেছে নিয়েছেন।’ আরেকটি ট্যুইটে অমিত শাহ বলেছেন, ‘এই জয় আদতে নরেন্দ্র মোদির গত পাঁচ বছরের উন্নয়ন এবং তাঁর শক্তিশালী নেতৃত্বের প্রতি সাধারণ মানুষের বিশ্বাস রাখার ফল। তার উপর ভর করেই দেশের সবক’টি বুথকে মজবুত করতে পেরেছেন বিজেপি কর্মীরা।’ মূলত এই ধারণাই আজ বিজেপিকে ঘিরে থেকেছে দিনভর।
দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তৈরি অস্থায়ী মিডিয়া শিবিরে যখন টেলিভিশন চ্যানেলগুলিতে ‘বাইট’ দিচ্ছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা, বারবার করে তাঁরাও তুলে নিয়ে এসেছেন এই প্রসঙ্গই। শাহনওয়াজ হোসেন বলছিলেন, ‘কংগ্রেস তো নিজেরাই নিজেদের ক্ষমতায় নিয়ে এসেছিল। বিজেপির নাকি ভরাডুবি হবে এবার। মোদিজির উন্নয়ন নিয়ে রাহুল গান্ধীর এখন কোনও বার্তা আছে?’
আইটিও মেট্রো স্টেশনের ২ নং গেট থেকে বিজেপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় মিনিট পনেরোর হাঁটাপথ। সকাল সাড়ে ১০টায় যখন সেভাবে ‘ট্রেন্ড’ স্পষ্টই নয়, সেই পথে গেরুয়া শিবিরের সারাদিনের চিত্র টের পাওয়া গিয়েছে তখনই। পটকা ফাটানোর শব্দে কান পাতা দায়। এক সমর্থক বললেন, ‘বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইকের সময়ও এরকমই আওয়াজ হয়েছিল নিশ্চই।’ স্থানীয় একটি স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আকাশ কুমার, বিজয় সিং, মায়াঙ্ক সিং রাওয়াতেরা। এখনও গোঁফের রেখা স্পষ্ট নয়। ভোটার কার্ডে নাম ওঠেনি। স্কুলের ড্রেসেই মাথায় ‘মোদি টুপি’ পরে ঢুকে পড়েছে পার্টি অফিসে। সটান বলল, ‘স্কুল ছুটি হয়ে গিয়েছে। মোদিকে সাপোর্ট করি। তাই সেলিব্রেশনে যোগ দিতে এসেছি।’ দিল্লির বাসিন্দা বছর তিরিশের অভিষেক বিজেপি অফিসে ‘মমতা দিদি, জয়শ্রীরাম’ লেখা প্ল্যাকার্ড ধরে দাঁড়িয়েছিলেন সটান। প্লেটের পর প্লেট বিলি হয়েছে লাড্ডু, সন্দেশ। দেদার উড়েছে গেরুয়া আবির।