বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এক্সিট পোলের রেজাল্টকে অস্বীকার করে দলীয় কর্মীদের ভোটগণনায় সজাগ থাকার বার্তা দিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। একই পাহারার কথা বলেছিলেন রাহুল গান্ধীও। কিন্তু দিনের শেষে ইভিএমের রায় কংগ্রেস থেকে মুখ ফিরিয়েছে। পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব নিয়ে দিনরাত প্রায় এক করে উত্তরপ্রদেশে ঘর গোছানোর চেষ্টা করেছেন প্রিয়াঙ্কা। বারাণসীতে রোড শো করেছেন। নৌকাযাত্রায় গঙ্গাবক্ষে অভিনব প্রচার সেরেছেন। কিন্তু আদতে মানুষের মন পড়ে উঠতে পারেননি প্রিয়াঙ্কা। তাই কমবেশি যেসব জায়গাতেই দলের ‘স্টার প্রচারক’ হিসেবে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী রোড শো করেছেন, যেসব প্রার্থীর সমর্থনে জনসভা করেছেন, তাঁদের কেউই প্রায় জেতেননি। তাই রাহুলের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসের ভবিষ্যত নিয়ে যেমন এআইসিসি চিন্তিত, একইভাবে প্রিয়াঙ্কা এতদিন তুরুপের তাস তকমায় তোলা থাকলেও তাও আদতে কাজে দিল না বলেই প্রমাণ হল। অন্তত আজকের ফলাফলে।
নিজের এবং দলের ভবিষ্যত নিয়ে এদিন আলোচনাও করেছেন প্রিয়াঙ্কা-রাহুল। সকালেই রাহুলের বাংলোয় চলে গিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সেখানে বসেই ফলাফলের দিকে নজর রাখেন ভাইবোন। কিন্তু রেজাল্টের গতিবিধি দেখে উভয়েই হতাশ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে কি কৃষক, রাফাল, নোটবন্দি কোনও ইস্যুই কাজে দিল না? কেন দিল না? অবশ্যই এসব নিয়ে উভয়ের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, রাহুল বা প্রিয়াঙ্কা, কেউই তাঁদের বৈঠক নিয়ে মুখ খোলেননি। বেলার দিকে রাহুলের বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিজের লোধি রোডের বাংলোয় চলে যান প্রিয়াঙ্কা।
পরে ১০ জনপথে মা সোনিয়া গান্ধীর কাছে যান বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে আলোচনায় ভেঙে না পড়ে হারের শিক্ষা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর শপথ নিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু তাঁর মধ্যে যে মোদিকে হারানোর কোনও ম্যাজিক নেই, তা আগেই স্বীকার করেছেন প্রিয়াঙ্কা। এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে কর্মীদের বলেই দিয়েছিলেন, ‘মোদিকে হারানোর কোনও ম্যাজিক আমার জানা নেই। সবাই মিলেই লড়তে হবে।’