পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিজ্ঞানীদের সূত্র জানিয়েছেন, আকাশে মেঘ থাকা অবস্থায় কৃত্রিম উপগ্রহ সেই এলাকার সঠিক চিত্র দিতে পারে না। কিন্তু, এবার যে কৃত্রিম উপগ্রহটি মহাকাশে প্রেরণ করা হল, সেটি মেঘে ঢাকা অবস্থাতেও সেখানকার সঠিক চিত্র নিতে পারবে। কারণ এই কৃত্রিম উপগ্রহে যে বিশেষ প্রযুক্তিকে ব্যবহার করা হয়েছে, তা মেঘ ভেদ করে পৃথিবীর সংশ্লিষ্ট অংশের ছবি নিতে পারবে। এক্ষেত্রে বিশেষ করে সীমান্তের জঙ্গি ঘাঁটিগুলির উপর সব পরিস্থিতিতে সমানভাবে নজরদারি চালাতে এই কৃত্রিম উপগ্রহ খুবই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে। শুধু মেঘ থাকা অবস্থাতেই নয়, বৃষ্টি হলেও সেখানকার ছবি তুলতে সক্ষম এই কৃত্রিম উপগ্রহটি। তবে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, কোনও এলাকায় স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ঝড়-বৃষ্টি হলে, এই কৃত্রিম উপগ্রহটি তখন নিজের স্বাভাবিক কাজ করতে পারবে না। তবে মূলত যে এলাকার উপর নজরদারির জন্য এই উপগ্রহটিকে ব্যবহার করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তাতে এই বিষয়টি সেভাবে অসুবিধার কারণ হবে না বলেই বিজ্ঞানীদের অনেকে মনে করছেন। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, এই উপগ্রহটির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হল দিন এবং রাতের ২৪ ঘণ্টার ছবিই সমানভাবে দিতে সক্ষম এটি।
তাই নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এই কৃত্রিম উপগ্রহটি আগামীদিনে ভারতের প্রতিরক্ষা শক্তিকে আরও জোরালো করবে বলেই বিজ্ঞানীরাও আশাবাদী। প্রসঙ্গত, এর আগে রিস্যাট-২ কৃত্রিম উপগ্রহটি ২০০৯ সালে মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল। বুধবার যে উপগ্রহটি (রিস্যাট-২বি) পাঠানো হল, সেটি রিস্যাট-২’র জায়গা নেবে। নতুন উপগ্রহটি আগামী পাঁচ বছর সক্রিয় থাকবে বলে ইসরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ৬১৫ কেজি ওজনের এই উপগ্রহটিতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র রয়েছে। যার মধ্যে একটি বিক্রম প্রসেসর এবং অন্যটি খুব কম দামের এমইএমএসপ্রযুক্তি সমৃদ্ধ ইন্টেরিয়াল নেভিগেশন সিস্টেম। অন্যদিকে, ইসরোর বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন, এর পরে আগামী জুলাই মাসে চন্দ্রযান-২ হচ্ছে ভারতের সবথেকে বড় অভিযান। তারপরে কার্টোস্যাট-৩’এর মতোও একটি গুরুত্বপূর্ণ কৃত্রিম উপগ্রহকে মহাকাশে পাঠানো হবে।