পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বুধবার বিকেলে বললেন, কীসের টেনশন? ৭১ সাল থেকে ভোটে দাঁড়াচ্ছি। নতুন করে কী টেনশন হবে! তবে এসময় আড্ডা মারা আর ক্যারাম— আমার ভীষণ প্রিয়। অনেক ‘রিল্যাক্সড’ লাগে। বাঁকুড়ায় ক্যারামটাই যা হচ্ছে না। আড্ডা মারছি প্রচুর। টেনশন কাটাতে পোড় খাওয়া রাজনীতিক সুব্রতবাবুর পছন্দ যেমন আড্ডা, কলকাতা দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী চন্দ্র বসু ভালোবাসেন গান, আরও নির্দিষ্টভাবে বললে গজল শুনতে। দুপুরে ফোন করার সময়, চাপমুক্ত গলায় বললেন, গজল শুনতে শুনতে গাড়িতে যাচ্ছি। সব টেনশন মুহূর্তে হাওয়া! জানবেন, এ সময় টেনশন কাটাতে বইও কিন্তু খুব ভালো সঙ্গী। বলেই কী বই পড়ছেন, কী তার তাৎপর্য— মিনিটখানেকে তা বুঝিয়েও দিলেন চন্দ্রবাবু। বোঝাই গেল, বিজেপি প্রার্থী টেনশনকে ভালোই বাগে এনেছেন। কথা বলার সময় কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী কণীনিকা ঘোষ বোস ছিলেন পার্টি অফিসে। বললেন, আমার জন্য উদ্বেগ থেকে সেরা মুক্তি সবসময়ই আসে রবীন্দ্রসঙ্গীতে। উদ্বেগ কাটাতে রবীন্দ্রনাথই সেরা। সেরার সেরা। ঠিক সেই সময় কলকাতা দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী মালা রায় ছিলেন চূড়ান্ত ব্যস্ততার মধ্যে। কাউন্টিং এজেন্ট, ট্যাবুলেশন শিট এসব ঠিক করা নিয়ে কর্মীদের সঙ্গে আলোচনায়। বললেন, কাজের মধ্যেই আছি তো। তাই ভালো আছি। এতে টেনশনও কাটে। কথা বলতে বলতেই দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন, যা হওয়ার হবে! আর চিন্তা করতে পারছি না। ওই কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী নন্দিনী মুখোপাধ্যায় বললেন, হারা-জেতা আসল নয়, আসল কথা লড়াই। তাই টেনশনও করছি না। এই তো বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পরীক্ষার ডিউটি দিয়ে এলাম। পার্টি অফিসে কর্মীদের সঙ্গে বসে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ঠিক করছি। ফল যাই হোক, লড়াই চলবেই।
ফলাফলের আগে টেনশনের কথা শুনতে না শুনতেই কলকাতা উত্তরের বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহা বললেন, টেনশন আবার কী বস্তু? পুননির্বাচন, এজেন্টদের নিয়ে বসা এতেই সময় কাটছে। আর আমার কোনও কিছুতেই দুশ্চিন্তা হয় না।
কাউন্ট ডাউন শেষ হওয়ার মুখে। ফল জানতে আর কয়েক ঘণ্টা। উদ্বেগ হচ্ছে না? শুনে রাজ্যের অন্যতম ধনী প্রার্থী কংগ্রেসের মিতা চক্রবর্তী বললেন, ভুলে যাবেন না, আমি একজন ‘বিজনেস ওম্যান’। ভাঙা-গড়া, উত্থান-পতন জীবনে বহু দেখেছি। আচ্ছা, একটা কথা বলুন তো, ২৩ মে’র পর কি পৃথিবীই থাকবে না? তাহলে কীসের টেনশন, উদ্বেগ?
আর ভোটে না দাঁড়ালেও সব আকর্ষণ নিমেষে শুষে ফেলার ক্ষমতা রাখেন যিনি, সেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম ভোট সেনাপতি অনুব্রত মণ্ডল ‘টেনশন’ শব্দটি ফোনে শুনেই হাসতে হাসতে বললেন, ‘মা তারা’ আর ‘বাবা মহাদেব’ যাঁর সঙ্গে আছেন, ‘দিদি’ যাঁর পাশে—তাঁর টেনশন? বলেন ভালো!