পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
দীর্ঘদিনের ভোট প্রক্রিয়ায় ১৪৫টির বেশি র্যা লি করেছেন কংগ্রেস সভাপতি। ছুটে গিয়েছেন দেশের প্রতিটি প্রান্তে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির র্যা লির সংখ্যা ১৪২। দুই প্রধান দলের শীর্ষ নেতারই প্রতিটি রাজ্যে গিয়েছেন। বিজেপির হিসেব বলছে, মোদি দেড় লক্ষ কিলোমিটার আকাশ পথে পরিক্রমা করেছেন। প্রতিটি জনসভায় ক্ষুরধার ভাষায় বিরোধীদের আক্রমণ করেছেন। দেশের নিরাপত্তার জন্য ভোট চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একটি ক্ষেত্রে তিনি কংগ্রেস সভাপতির থেকে পিছিয়ে। দেড় মাসের ভোট প্রক্রিয়ায় আটটির বেশি সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন রাহুল গান্ধী। সেখানে গত পাঁচ বছরে প্রধানমন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলনের সংখ্যা দুই-তিনের বেশি হবে না। সপ্তম দফার শেষে প্রধান সেনাপতি অমিত শাহকে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মোদি। কিন্তু লিখিত বক্তব্য শোনানো ছাড়া সাংবাদিকদের একটি প্রশ্নেরও উত্তর প্রধানমন্ত্রী দেননি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়া নিয়ে মোদি বরাবরই উদাসীন।
এই সব অভিযোগ গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। ভোটপর্ব শেষ হওয়ার পর তিনি রীতিমতো পরিসংখ্যান দিয়ে দেখিয়েছেন, ২৮ মার্চ মিরাট থেকে জনসভা শুরু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। শেষ হয় ১৭ মে মধ্যপ্রদেশের খারগোনেতে। মোদি যে একাই একশো, ৪৬ ডিগ্রি তাপমাত্রাতেও তার প্রমাণ মিলেছে। ১৪২টি জনসভায় মুখোমুখি হয়েছেন দেড় কোটির বেশি মানুষের। রোড শো করেছেন মোট চারটি। আকাশ পথে যাত্রা করেছেন দেড় লক্ষ কিলোমিটার। দেশের এমন কোনও প্রান্ত নেই, যেখানে প্রধানমন্ত্রী পা রাখেননি। স্বাধীনতা পরবর্তী যুগে এমন কঠোর পরিশ্রমী নেতা খুব কমই দেখা গিয়েছে। আপ্লুত অমিত শাহ। তিনি নিজেও ৩১২টি লোকসভা কেন্দ্রে প্রচার করেছেন বলে জানান বিজেপি সভাপতি।
কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, ১৪৫টির বেশি জনসভা, আটটি সাংবাদিক সম্মেলন এবং পাঁচটি রোড শো করেছেন সভাপতি। বিহারের রাজধানী পাটনা থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি প্রচার শুরু করেন রাহুল গান্ধী। ১৭ মে হিমাচল প্রদেশের সোলানে প্রচার শেষ হয়।