কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
বুধবার বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুষমা বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার ভাই-বোনেদের দুঃখ আমরা অনুভব করতে পারি। সম্প্রতি ওরাও ঘৃণ্য জঙ্গি হামলার শিকার হয়েছে। পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় ৪০-এর বেশি আধাসেনার শহিদ হওয়ার স্মৃতি তখনও ভারতবাসীর মনে তাজা, সেই সময়ই পড়শি দেশ থেকে ওই দুঃখজনক খবর আসে। এরপরই আমরা সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানকে আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ এদিন, পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সন্ত্রাস বিরোধী পরিকাঠামো (অ্যান্টি টেরোরিজম স্ট্রাকচার) তৈরির বার্তা দিয়েছেন তিনি। এই ব্যাপারে যে কোনও রকম উদ্যোগ ও আলোচনাকে ভারত স্বাগত জানাবে বলে বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন সুষমা। তাঁর মতে, এই পরিকাঠামো তৈরি করা গেলে সুরক্ষা ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করা যাবে।
আমেরিকা ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ নিয়ে চিন্তিত গোটা বিশ্ব। এসসিও’র বৈঠকেও এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সদস্য দেশগুলি। এই প্রসঙ্গে নয়াদিল্লির অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তিনি জানান, ভারত চায় সকলের স্বার্থ সুরক্ষিত রেখে ব্যবসায়িক নীতি তৈরি হোক। এছাড়া, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে সকলকে একসঙ্গে কাজ করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
বৈঠকে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি চীনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন সুষমা। সেখানে দুজনের মধ্যে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গত বছর ‘ওয়াহান সামিট’-এ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করতে বেশ কিছু পদক্ষেপের ব্যাপারে চুক্তি করেন। সেইগুলির প্রয়োগ ও অগ্রগতির ব্যাপারে এদিন আলোচনা করেন দুই বিদেশমন্ত্রী। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার ট্যুইট করে এই তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে, ভারত দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের দাবি জানাচ্ছে। নয়াদিল্লি পাশে পেয়েছে ব্রাজিল, জার্মানি, জাপানকেও। ভারতের বক্তব্য, এই সংগঠনকে আরও কার্যকরী করতে হলে এর স্থায়ী প্রতিনিধিত্ব বাড়ানো দরকার। জি-৪ দেশগুলি ইতিমধ্যেই এই ইস্যুতে পরস্পরকে সমর্থন জানিয়েছে। এবার আন্তর্জাতিক মঞ্চকেও ব্যবহার করার কৌশল নেওয়া হল। বুধবার, বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুষমা স্বরাজ এ ব্যাপারে এসসিও’র সদস্য দেশগুলিকে সমর্থন জানানোর আবেদন জানিয়েছেন।