কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
যাবতীয় এক্সিট পোল কংগ্রেসকে ক্ষমতায় আসার রাস্তা থেকে যোজন দূরে রেখেছে। তাই মুখে এক্সিট পোল বিশ্বাস করি না বললেও কংগ্রেসের মধ্যে তার প্রভাব পড়েছে। তবুও দলের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখতে এগিয়ে এলেন রাহুল। দিন কয়েক আগে বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী একটি অডিও বার্তায় দলকে যেভাবে সজাগ থাকার কথা বলেছিলেন, আজ একইভাবে ট্যুইট করে কংগ্রেস কর্মীদের সজাগ থাকার কথা বললেন রাহুল গান্ধী। এক্সিট পোলকে ভুয়ো এবং মিথ্যে আখ্যা দিয়ে গণনাকেন্দ্রে সজাগ পাহারায় কংগ্রেসের কর্মীদের ভোট গোনার দিকে খেয়াল রাখতে বলেছেন রাহুল। দলীয় কর্মীদের কংগ্রেস সভাপতির বার্তা, আগামী ২৪ ঘণ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। সবাই সজাগ থাকুন। ভয় পাবেন না। মনে রাখবেন আপনারা সত্যের জন্য লড়াই করেছেন। দলীয় কর্মীদের চিঠি দেওয়ার কায়দায় রাহুল গান্ধী ট্যুইটারে লিখেছেন, নকল এক্সিট পোলের প্রচারে কেউ হতাশ হবেন না। নিজের ওপর এবং কংগ্রেস পার্টির ওপর বিশ্বাস রাখুন, আপনার শ্রম বিফল হবে না।
এবার কংগ্রেস গোটা দেশে ৪২১ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। তার মধ্যে কমপক্ষে ১১০ থেকে ১৪৩ জন জিতবে বলেই কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ হিসেব। এবার ভোট পড়েছে ৬৭.১১ শতাংশ। তাই তার মধ্যে থেকে প্রাপ্ত ভোটের হার গতবারের মতো হয়, নাকি বাড়ে, তার দিকেই তাকিয়ে আছে কংগ্রেস। শুধু শতাংশের হার বৃদ্ধিই নয়, আসন বাড়ানোটাই রাহুল গান্ধীর টার্গেট। পরীক্ষাও বটে! কিন্তু গত রবিবার এক্সিট পোলের বেশিরভাগই কংগ্রেসের এই হিসেবকে দিবাস্বপ্ন বলেই তকমা দিয়েছে। তবু হারের আগে হাল ছাড়তে নারাজ কংগ্রেস।
তাই গতকাল ২২ টি বিরোধী দলের বৈঠকের পাশাপাশি দলের নেতাদের নিয়ে আজ পৃথক বৈঠক করেছেন রাহুল গান্ধী। অভিষেক মনু সিংভি, গুলাম নবি আজাদ, পি চিদম্বরম, আহমেদ প্যাটেলের মতো নেতারা সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামীকাল সকাল থেকে গণনা শুরু হওয়ার পর থেকে জয় পরাজয়ের গতিবিধি বুঝেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যদি দেখা যায়, বিজেপির একা সরকার গড়ার সম্ভাবনা কম, তখনই সম্মিলিত বিরোধীদের ওই সমর্থনের চিঠি নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে দরবার করা হবে।