পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পক্ষান্তরে কংগ্রেসের প্রচারের অভিমুখ ছিল রাফাল কেলেঙ্কারিতে মোদিকে টার্গেট করা ও কৃষি, কর্মসংস্থান নিয়ে মোদি সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরা। আগামীকাল জানা যাবে, সিংহভাগ ভোটার কার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। যদি বিজেপি আবার একক গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে তাহলে মোদি আরও ক্ষমতাবান হয়ে আবির্ভূত হবেন ভারতীয় রাজনীতিতে। আর যদি তাঁকে এনডিএ অথবা জোটের বাইরে থাকা কোনও আঞ্চলিক দলের কাছে সমর্থন চাইতে হয় সরকার গড়ার জন্য, তাহলে মোদির শক্তি ও ভাবমূর্তি অনেকটাই ধাক্কা খাবে। কারণ তখন জোটশরিকদের কন্ঠস্বর অনেক উচ্চকিত হয়ে যাবে এবং সকলকে তুষ্ট করে মোদিকে সরকার চালাতে হবে। আর বিজেপি তথা এনডিএ যদি দুর্বল হয় কিংবা সরকার গঠন করতে না পারে, তাহলে সবথেকে বেশি সমীকরণ বদল হবে বিজেপির অন্দরে। দলের মধ্যে থেকেই মোদি বিরোধী শক্তি মাথাচাড়া দেবে। কিন্তু একক শক্তিতে বিজেপি সরকার গড়লে মোদি হবেন বিজেপির সর্বকালের সফলতম নেতা।
অন্যদিকে, কংগ্রেস যদি ভালো ফল করতে না পারে, তাহলে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্ব নিয়েই প্রশ্ন উঠবে। দেরিতে হলেও কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এবারও রাহুল ব্যর্থ হলে কি প্রিয়াঙ্কাই হবেন নয়া কংগ্রেস সেনাপতি? নাকি সমস্ত জল্পনাকে উড়িয়ে রাহুলের কংগ্রেস ও বিরোধী দলগুলিই এবার চমকে দেওয়া ভালো ফল করবে? প্রকৃতপক্ষে ৫৪২ আসন নয়। এবার দেশের আগ্রহ আসলে ১২২ আসন ঘিরে। পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তরপ্রদেশ। বিগত দু’মাস ধরে এই দুই রাজ্যই ছিল মিডিয়া থেকে সাধারণ মানুষের চর্চার ভরকেন্দ্র। বস্তুত এই ১২২ আসনের হারজিতই বিজেপির ভাগ্য নির্ধারণ করবে। উত্তরপ্রদেশে জোট আর বাংলায় মমতা, এই দুই ফ্যাক্টর বিজেপিকে টেনশনে রেখেছে। নিছক ভোটের লড়াই নয়, এই দুই রাজ্য নরেন্দ্র মোদির কাছে প্রেস্টিজের লড়াই। সপ্তদশ লোকসভায় সরকারের মুখ হয়ে আবার প্রবেশ করবেন সেই নরেন্দ্র মোদিই? নাকি নতুন কোনও প্রধানমন্ত্রী, উত্তর মিলবে আজই।