বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বিজেপির এই দাবি নিয়ে কংগ্রেস বা জেডিএস, কেউ কিছু বক্তব্য পেশ করেনি। যার জেরে জল্পনা আরও বেড়েছে। অনেক আগে থেকেই চর্চা চলছিল, লোকসভা ভোটের ফলাফলের প্রভাব কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারের উপর পড়বে। নির্বাচনের আগে থেকেই বিজেপি ‘অপারেশন লোটাস’ চালাচ্ছে বলে দাবি করেছিল কংগ্রেস-জেডিএস। অর্থাৎ বিধায়ক ভাঙার খেলায় নেমেছে বিজেপি। সরকারের এই টলমলে পরিস্থিতিতেই কংগ্রেসের মধ্যে বিদ্রোহের সুর শোনা যাচ্ছে। মঙ্গলবারই কর্ণাটক কংগ্রেসের বিধায়ক রোশন বেগ রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রধান দীনেশ গুন্ডু রাওকে ‘ফ্লপ শো’ এবং দলের সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপালকে ‘ভাঁড়’ বলেও আক্রমণ করেছেন। এই নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরে তোলপাড় অবস্থা। তারই মধ্যে আর এক বিধায়ক কে সুধাকর ইভিএমে কারচুপি নিয়ে দলীয় অবস্থানের বিরুদ্ধে মতপ্রকাশ করলেন। ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি খুবই হতবাক। বুথ ফেরত সমীক্ষা নিয়ে চর্চার মধ্যেই কেন ইভিএম কারচুপির অভিযোগ করা হচ্ছে। বাস্তবে, এক্সিট পোল ভোটের শেষে ভোটারদের মনোভাবকে কিছুটা প্রকাশ করে। তাহলে কী তিনি বিজেপি জয় নিশ্চিত দেখছেন? কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দল যখন ইভিএমে কারচুপির অভিযোগে সরব হয়েছে, সেখানে কেন তিনি উল্টো মত পোষণ করছেন? এই সব প্রশ্নের কোনও সরাসরি উত্তর দেননি চিক্কাবল্লবপুরার বিধায়ক। তাঁর উত্তর, আমি শুধু বলতে চেয়েছিলাম, এক্সিট পোলের সঙ্গে ইভিএম কারচুপির কোনও সম্পর্ক নেই। এক্সিট পোল কয়েকটি সংবাদমাধ্যম তৈরি করেছে। সব সময় তা সঠিক নাও হতে পারে। তাই বলে ইভিএমকে দায়ী করা যায় না। দলের মধ্যে ভিন্ন সুর কী ‘অপারেশন লোটাস’-এর ফল? কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব মন্তব্য করতে নারাজ।
এদিকে খবর হল, কর্ণাটক কংগ্রেসকে সাময়িক স্বস্তি দিল বিরোধী দল বিজেপি। ‘অপারেশন লোটাস’ সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে বলে কর্ণাটক বিজেপি জানিয়েছে। লোকসভার ফলাফল এবং মধ্যপ্রদেশে কী হয়, দেখার পরই কর্ণাটক নিয়ে এগবে বিজেপি নেতৃত্ব।