পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মঙ্গলবার দিনে-দুপুরে অরুণাচলের বোগাপানি গ্রামের কাছে ওই বিধায়কের গাড়িতে সশস্ত্র হামলা চালায় জঙ্গিরা। বিধায়ক ও তাঁর সঙ্গীদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে তাঁরা। বিধায়কের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলেও জানা গিয়েছে। তাতে তিরং আবুহ নামে এনপিপি (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি)-এর বিধায়ক সহ ১০ জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে দু’জন নিরাপত্তারক্ষী ও বিধায়কের বড় ছেলেও রয়েছেন বলে পুলিস জানিয়েছে। তবে, এখনও স্পষ্ট নয়, ছেলে ছাড়াও বিধায়কের সঙ্গে তাঁর পরিবারের কে কে ছিলেন। অরুণাচলের ডিজিপি এস বি কে সিং বলেছেন, ‘ঘটনাস্থলেই ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম অবস্থায় এক নিরাপত্তা রক্ষীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিস জানিয়েছে, অরুণাচলের পশ্চিম খোংসা কেন্দ্র থেকে এনপিপির টিকিটে বিধায়ক হয়েছিলেন তিরং। এবারও প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। প্রচারের সময় তাঁকে জঙ্গিরা হুমকি দিয়েছিল। সেই মতো নিরাপত্তা পেয়েছিলেন তিনি। এদিন অসম থেকে তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে ফিরছিলেন তিরং। বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ বোগাপানি গ্রাম সংলগ্ন রাস্তার উপর জঙ্গিরা তাঁর গাড়িটি ঘিরে ধরে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বেপরোয়াভাবে গুলি চালাতে শুরু করে তারা। ঘটনাস্থলেই ছ’জনের মৃত্যু হয় বলে তিরাপের জেলা পুলিস সুপার পি এন থুংগং জানিয়েছেন। হামলার পিছনে এনএসসিএন (আইএম) জড়িত বলে পুলিস মনে করছে। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিস বাহিনী গিয়েছে। জঙ্গিদের খোঁজে এলাকায় জোর তল্লাশি শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিস সুপার।
দলীয় বিধায়কের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনায় কড়া নিন্দা করেছেন এনপিপি সুপ্রিমো সাংমা। এক ট্যুইটার বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘বর্বোরোচিত ঘটনা। নিন্দা করার কোনও ভাষা নেই। তিরং আবুহের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। এরই পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন সাংমা। তাঁকে আশ্বস্ত করে রাজনাথ বলেছেন,‘উত্তরপূর্বাঞ্চলে যারা শান্তি নষ্ট করছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’