যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
দলের প্রতিটি প্রার্থী থেকে শুরু করে কাউন্টিং এজেন্টকে কংগ্রেস হাইকমান্ডের নির্দেশ, ভোট গণনার সময় সজাগ থাকতে হবে। এ ব্যাপারে কমিশনের যে নির্দিষ্ট ফর্ম রয়েছে, তার প্রতিটি ঘর পূরণ করার সময় বাড়তি নজর রাখতে হবে। যাতে কোথাও কোনও ফাঁক না থেকে যায়। একইভাবে গণনার পর ভোটকেন্দ্রে প্রতিটি বুথে যে ভোটদান হয়েছে, তার রেকর্ডের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে। কোথাও কোনও কারচুপি হচ্ছে কি না, তা খেয়াল রাখতে হবে। আর কোনও কারণে হিসেবের গরমিল পেলে প্রয়োজনে বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবে বলে ঠিক করেছে কংগ্রেস।
এক্সিট পোলে কংগ্রেসকে সরকার গড়ার স্বপ্ন থেকেই যোজন দূরে রেখেছে বৈদ্যুতিন মাধ্যম। যদিও কংগ্রেস হাইকমান্ড এই এক্সিট পোল নিয়ে তেমন চিন্তিত নয় বলেই দলীয় সূত্রে খবর। গতকালই এ ব্যাপারে অভিষেক মনু সিংভি, রাজীব শুক্লার মতো দলের মুখপাত্ররা বলেছেন, ‘এতদিন অপেক্ষা করতে পারলে ২৩ তারিখ গণনার দিন পর্যন্ত ভোটার তথা সমর্থকদের ধৈর্য্য ধরা উচিত। সেদিনই আসল।’ বেশিরভাগ সময়ই এক্সিট পোলের রিপোর্ট প্রকৃত ভোটের সঙ্গে মেলেনি বলেই কংগ্রেসের দাবি। যদিও অস্বস্তি এড়াতেই আজ কোনও সাংবাদিক সম্মেলন রাখেনি কংগ্রেস।
দলীয় সূত্রে খবর, ভোটের ফলাফল, তা আশানুরূপ হোক বা নাই হোক, প্রতিটি বুথের রেকর্ড বিশ্লেষণ করবে কংগ্রেস। তারই লক্ষ্যে ভোটের দিনই প্রতিটি বুথে থাকা দলের পোলিং এজেন্টকে নির্বাচন কমিশনের নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করার সময় যেমন সতর্ক থাকতে বলা হয়েছিল, একইভাবে গণনার দিনও সজাগ থাকার কথা বলা হয়েছে।
বুথ ধরে ধরে ইভিএমের নম্বর, কতজন প্রার্থী, কতজন ভোটার, কতজন ভোট দিল, তার মধ্যে কতজন পুরুষ, কতজন মহিলা, কতজন ভোট দেয়নি, ভিভিপ্যাট স্লিপের পেপারের সিরিয়াল নম্বর কী, ঘণ্টায় ঘণ্টায় কত শতাংশ ভোট হল, প্রক্সি ভোট কত হল, টেন্ডার ভোট হল কি না, কোন দলের এজেন্ট ছিল ইত্যাদি খুঁটিনাটি বিষয় বিস্তারিত নোট করার কথা বলা হয়েছিল বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। একইভাবে গণনার দিনও এক একটি কেন্দ্রের এক একটি বুথের ভোটবাক্স যখন খোলা হবে এবং গণনা চলবে তখনও দলের কাউন্টিং এজেন্টদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকমান্ড। দলের প্রার্থীদের এ ব্যাপারে বাড়তি উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। ফলাফলের রেকর্ড শিট হাতে নেওয়ার আগে যেন কমিশনের নির্দিষ্ট ফর্ম ভালোভাবে দেখে নেওয়া হয়।