যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
বুথফেরত সমীক্ষার ফলে দেখা যাচ্ছে, কমবেশি ৩০২টি আসন পেতে পারে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ-র দখলে যেতে পারে ১২২টি আসন। বাকি ১১৮টি আসন পাবেন অন্যান্যরা। কিন্তু তামিলনাড়ুতে এক্সিট পোলের গতিপ্রকৃতি পুরো উল্টো। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ৩৮টি আসনের মধ্যে ২৭টিই পেতে পারে ইউপিএ। একটি সমীক্ষায় তো এমনও দেখা গিয়েছে যে নির্বাচন হওয়া ৩৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৪টিই পাচ্ছে ডিএমকে। এআইএডিএমকে-বিজেপির জোটের ভাগ্যে দেখা যাচ্ছে মাত্র ১১টি আসন। তাই এক্সিট পোলের এই হিসেবকে তাই সর্বৈব মিথ্যা বলে দাবি করেছেন পালানিস্বামী। তাঁর দাবি, ‘তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরির ৩৯টি আসনেই জিতবে এআইএডিএমকে জোট।’ এক্সিট পোলের হিসেব মানতে রাজি নন এআইএডিএমকে থেকে বেরিয়ে নতুন দল গড়া টিটিভি দিনাকরণও।
একইরকমভাবে যাবতীয় বুথফেরত সমীক্ষার ফলকে খারিজ করে দিচ্ছেন কংগ্রেস কর্মীরা। তাঁদের মতে, আগামী ২৩ মে নির্বাচনের ফল এমন একপেশে হবে না। দল ভালো ফল করবে বলেই আশাবাদী তাঁরা। যদিও, সোমবার সকালে বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেসের সদর দপ্তরগুলিতে শোকের পরিবেশ দেখা গিয়েছে। তবে কংগ্রেস কর্মী জগদীশ শর্মা সাফ জানালেন, ‘এক্সিট পোলগুলি আসলে বিজেপির গুজব ছড়ানোর প্রচেষ্টামাত্র। এই পরিবেশ তৈরির পর ওরা ইভিএমগুলিকে প্রভাবিত করার চেষ্টাও করতে পারে। কিন্তু আমরা আরও ভালো ফল করব এবং জিতব। যেমন দেখানো হচ্ছে, ফল তেমন একপেশে হবে না। আমরা মাঠে নেমে বাস্তব পরিস্থিতি দেখেছি এবং বিজেপি ছাড়া কেউই এই এক্সিট পোলগুলিকে বিশ্বাস করছে না।’ বুথফেরত সমীক্ষাকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে দাবি করেছেন কংগ্রেসের বিচার বিভাগের সাধারণ সম্পাদক নীতা মিশ্র।
এদিকে, দেশে এখনও মোদিঝড় রয়েছে বোঝানোর জন্যই যাবতীয় বুথফেরত সমীক্ষাগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। ভোট পরবর্তী পরিস্থিতিতে ইভিএমের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। এদিন একের পর এক ট্যুইট করে কুমারস্বামী লিখেছেন, ‘ শাসক দল নির্বাচনী লাভের জন্য ইভিএমগুলির দুর্বলতার সুযোগ নিতে পারে, ১৯ মে-র এক্সিট পোল সমীক্ষা বিরোধী দলগুলির এই আশঙ্কাই ফিরিয়ে আনল। এই কৃত্রিমভাবে তৈরি মোদিঝড় ব্যবহার করে বিজেপি আগে থেকেই আঞ্চলিক দলগুলিকে কাছে টানার চেষ্টা করছে। যাতে ২৩ মে ফল ঘোষণার পর সমস্ত খামতি পূরণ করা যায়। এই গোটা এক্সিট পোল প্রক্রিয়াটিই শুধুমাত্র একজন নেতা এবং একটি দলের পক্ষে মিথ্যা ভাবমূর্তি গড়তে তৈরি করা হয়েছে। যেমন ওরা বলছে, এটা শুধুমাত্র এক্সিট পোল, এগজ্যাক্ট পোল (সঠিক ফল) নয়।’ বুথফেরত সমীক্ষা বলছে, কর্ণাটকে ২৮টি আসনের মধ্যে ২১টিতেই জয়ী হতে পারে বিজেপি। স্বাভাবিকভাবেই এই ফল মানছেন না কুমারস্বামী।
অন্যদিকে, এদিনও ভোটগণনার নিয়ম বদলের পক্ষে সওয়াল করেছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘ভিভিপ্যাট স্লিপ এবং ইভিএমের ফল যদি না মেলে, সেক্ষেত্রে কী পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে তা এখনও জানায়নি নির্বাচন কমিশন। এমনকী, যদি একটিও গরমিলের ঘটনা ঘটে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিধানসভার সমস্ত ভিভিপ্যাট স্লিপ গণনা করা আবশ্যিক।’ অধিকাংশ এক্সিট পোল এজেন্সিগুলিকে বিজেপিপন্থী চ্যানেল বলে অভিযোগ করেছে সিপিআইও। দলের সাধারণ সম্পাদক এস সুধাকর রেড্ডি এদিন এক সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, ‘এদের কাছ থেকে এটাই আশা করা যায়। শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত, এই সবই বিজেপির নির্বাচনী প্রচারের অঙ্গ। তাই আমি এগুলিকে কোনও মূল্য দিচ্ছি না।’ তবে যারা এখনও ইউপিএ-র হাত ধরেনি, তাঁরা একসঙ্গে মিলে সরকার গড়তে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।