যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
সেই মতো সাতদিন সময় পেরলেই সিবিআই রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে এফআইআর করে এগবে বলেই জানা গিয়েছে। এদিকে, নিজেকে বাঁচাতে আজ আইনজীবী মারফৎ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন রাজীব কুমার। নিয়ম অনুযায়ী তাঁর কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করার কথা। কিন্তু হাইকোর্টে আইনজীবীদের ধর্মঘট চলছে। তাই সুপ্রিম কোর্ট যে সাময়িক সাতদিন সময় দিয়েছে, তা বাড়ানোর জন্য শীর্ষ আদালতের গ্রীষ্মাবকাশকালীন বেঞ্চে আবেদন করেন রাজীব কুমারের আইনজীবী আস্থা শর্মা। যতদিন পর্যন্ত না ধর্মঘট উঠছে, ততদিন সাময়িক রক্ষাকবচের সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করা হয়।
কিন্তু বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, এ ব্যাপারে আজ গ্রীষ্মাবকাশকালীন বেঞ্চের কিছু করার নেই। কারণ রাজীব কুমারের রায় দিয়েছে তিন সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চ। দেশের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি দীপক গুপ্তা এবং বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। তাই রাজীব কুমারের আইনজীবীকে তাঁর আবেদন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেলের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, সারদা সহ অন্যান্য চিটফান্ডমামলার তদন্তে অসহযোগিতার পাশাপাশি রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে তথ্য লোপাটের অভিযোগ রয়েছে সিবিআইয়ের।
তারই রায় দিতে গিয়ে গত শুক্রবার ১৭ মে সুপ্রিম কোর্ট একদিকে যেমন রাজীব কুমারকে গ্রেপ্তার করতে পারার রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করে নিয়েছে, একইসঙ্গে রাজ্য পুলিস এবং সিবিআইয়ের সমালোচনাও করেছে সুপ্রিম কোর্ট। রায়ে সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য, গরিব যে মানুষগুলোর সঞ্চয় লুঠ হয়ে গেল তাদের কথা না ভেবে সিবিআই এবং পশ্চিমবঙ্গের পুলিস নিজেদের মধ্যে খেয়োখেয়ি করছে। পুলিসের অন্যতম প্রধান কাজ যে তদন্তের স্বার্থে তথ্য জোগাড়, অপরাধীদের খোঁজা ইত্যাদি, উভয়েই তা ভুলে গিয়েছে। উভয়পক্ষই নিজেদের জায়গায় এমন অনড় যে কোনও প্রশাসনিক ব্যবস্থায় পুলিসেরই এই দুই অংশের (সিবিআই এবং রাজ্য পুলিস) সমস্যা মেটানো সম্ভব নয়।