কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ডোকা লা ইস্যুর পরবর্তী পরিস্থিতিতেও ভারত-চীনের সম্পর্ক যে খুব একটা সন্তোষজনক নয়, তা কূটনৈতিক মহলও স্বীকার করেছে। ইতিমধ্যে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক যেসব তথ্য পেয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, ভুটানের পশ্চিমাংশের মালভূমি অঞ্চল ডোকা লা’তে ফের চীন সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। সেখানে সেনাদের কড়া টহলদারি চলছে। ইয়াটং ও টিসোনা সেক্টরে পিপলস লিবারেশন আর্মিকে দেখা গিয়েছে। ওই সেক্টরে হেলিপ্যাড তৈরির কাজও হচ্ছে বলে দেখা গিয়েছে স্যাটেলাইট ছবিতে। সূত্রের খবর, এক নতুন ধরনের পরিকাঠামো তৈরির কাজ শুরু করেছে চীন। ভারত-চীন সীমান্ত থেকে ৭৫০ কিলোমিটার দূরে শিনিং-এ একটি বিশাল বিমানবন্দর তৈরি করছে চীন। তিব্বতের লুনৎসে, টিংরি এবং পুরাং-এ বানানো হচ্ছে তিনটি ছোট বিমানবন্দর। এই তিনটি বিমানবন্দরই ভারত সীমান্তের খুব কাছে। একই সঙ্গে গোঙ্গার বিমানবন্দরের পরিকাঠামোর খোলনলচেও বদলে ফেলছে চীন। এই কাজ শেষ হবে ২০২০ সালের মধ্যেই। বছরে ৯০ লক্ষ পর্যটক বিমানে ওঠানামা করতে পারবেন এই বিমানবন্দরে। পাশাপাশি ৮০ হাজার টন পণ্য পরিবহণ করা সম্ভব এখান থেকে। এটি অসামরিক প্রকল্প হলেও প্রয়োজনে এই বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারবে পিপলস লিবারেশন আর্মি বা চীনা সেনা। এছাড়া গত সেপ্টেম্বরেই তিব্বতে খুলে গিয়েছে রিকাজে-শিগাজে-জিনান বিমান চলাচলের রুট। সব মিলিয়ে গত কয়েক বছরে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে পরিকাঠামো বদলাচ্ছে বেজিং।
যদিও পিছিয়ে নেই ভারতও। উত্তর-পূর্ব ভারতে আরও ছ’টি ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা বসানোর কথা ভাবছে ভারত। এ ছাড়া ২০২০ সালের মধ্যে নিয়ে যাওয়া হবে চিনুক এবং অ্যাপাচে হেলিকপ্টারের একটি করে স্কোয়াড্রন। সাধারণত একটি স্কোয়াড্রনে ১২ থেকে ২৪টি বিমান বা হেলিকপ্টার থাকে। রাশিয়ার কাছ থেকে অত্যাধুনিক এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা কেনা হলে তারও সদ্ব্যবহার করা হবে উত্তর-পূর্ব ভারতের কথা মাথায় রেখেই। সেই কাজ শেষ হবে ২০২১ সালের মধ্যে। এছাড়া রাফাল যুদ্ধবিমানের একটি স্কোয়াড্রনও মোতায়েন করা হবে উত্তর-পূর্বেই।
২০১৭ সালে ৭২ দিন ধরে ডোকা লা’য় চীনা সেনা ঘাঁটি গেড়ে ছিল। ভারতীয় সেনা চীনের নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দিলে অশান্তি চরমে পৌঁছয়। তারপর কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও আবারও যে সমস্যা তৈরির সম্ভাবনা হয়েছে, তা স্বীকার করছেন ফোর্ট উইলিয়ামের সেনাকর্তাদের একাংশ।
এদিন পূর্বাঞ্চলীয় সেনাপ্রধানের বৈঠকে সীমান্তে সেনাবাহিনী কতটা প্রস্তুত আছে, তা উঠে আসে। যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে সেনারা কতটা সামাল দিতে সক্ষম, তা সেনাকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে জেনে নেন তিনি।