পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্তদের মতো ক্ষীরোদের মাটির বাড়িও ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। ঠাঁই বলতে খোলা আকাশ। ভিটে-মাটি হারানো এই সমস্ত মানুষের জন্য অস্থায়ী আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছে ওড়িশা প্রশাসন। সেইমতো ৫৮ বছর বয়সি দলিত ক্ষীরোদকে থাকার জন্য এই ৭ ফুট বাই ৬ ফুটের শৌচালয় বরাদ্দ করেছে তারা। ক্ষীরোদের কথায়, ‘ঘূর্ণিঝড়ে আমার (মাটির) বাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, সেই তাণ্ডব সহ্য করে টিকে গিয়েছে এই পাকা টয়লেট। আমার আর কোথাও যাওয়ার নেই। মাত্র দু’দিন আগে থাকার জন্য আমাকে এই শৌচালয় দেওয়া হয়েছে। জানি না কতদিন এখানে আমাদের থাকতে হবে!’
ফণীর দাপটে ক্ষীরোদের এমনই করুণ অবস্থা যে নতুন করে বাড়ি বানানোর সামর্থটুকুও শেষ হয়ে গিয়েছে। সরকারের পুনর্বাসন বা অনুদান ছাড়া দ্বিতীয় কোনও ভরসা নেই তাঁর। এই পরিস্থিতিতে শৌচালয় মাথা গোঁজার ঠাঁই হওয়ায় ক্ষীরোদের পরিবারকে খোলা জায়গায় মল-মূত্র ত্যাগ করতে হচ্ছে। ফণীর তাণ্ডবে আজ এমন অবস্থা হলেও সরকারি আবাস প্রকল্পের আওতায় বাড়ি করার টাকা পেলে হয়তো এমন হাল হতো না ক্ষীরোদের।
তাঁর আক্ষেপ, ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার পাশাপাশি বিজু পাকা ঘর প্রকল্পের আওতায় বাড়ি বানানোর জন্য টাকার আবেদন করেছিলাম। কিন্তু, সেই টাকা আমি পাইনি। আজ যদি সরকারের আর্থিক সহায়তায় মাটির পরিবর্তে আমার পাকা বাড়ি হতো, তাহলে আমার বাড়িটাও বেঁচে যেত। কিন্তু, সেটা হতে দেওয়া হয়নি।’ আশ্রয়ের জন্য ক্ষীরোদকে শৌচালয় বরাদ্দ করা হয়েছে একথা শুনে জেলা গ্রামীণ উন্নয়ন এজেন্সি (ডিআরডিএ)-এর প্রজেক্ট ডিরেক্টর দিলীপকুমার পারিদা বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে।’