কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
বিবৃতির ছত্রে ছত্রে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর তুলনা টেনেছেন মায়াবতী। উত্তরপ্রদেশে চারবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। মায়াবতীর দাবি, তাঁর শাসনকাল ছিল নিষ্কলুষ, জনমুখী এবং আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থার দিক দিয়েও অনেক উন্নত। অপরদিকে, নরেন্দ্র মোদি তাঁর থেকে অনেক বেশিদিন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকলেও, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় কলুষিত তাঁর শাসনকাল। সেই শাসনকে ‘দেশের ইতিহাসের কলঙ্ক’ বলেও উল্লেখ করেছেন বিএসপি সুপ্রিমো। মায়াবতীর কথায়, ‘সরকারি কোনও পদে থাকার যোগ্যতা মোদি হারিয়েছেন। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রাজধর্ম পালন করতে তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন। তাই তিনি মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অনুপযুক্ত।’ কয়েকদিন আগে উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনী প্রচারে এসে মায়াবতীর বৈভবকে কটাক্ষ করে ‘দৌলত কি বেটি’ বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এই নিয়ে শুক্রবার মায়াবতী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে দলিত বিরোধী মানসিকতা প্রকট হয়ে পড়েছে। তিনি চান না যে পিছিয়ে পড়া কারও উন্নতি হোক। মায়াবতী আরও বলেন, ‘সারা দেশ জানে বেনামে সম্পত্তির মালিকদের অধিকাংশই বিজেপির সঙ্গে যুক্ত।’
মায়াবতী নিজের মুখে এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কথা বললেও তাঁকে এই পদে আগেই সমর্থনের কথা জানিয়েছেন এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার এবং তাঁর জোটসঙ্গী এসপি সভাপতি অখিলেশ যাদব। শারদ বলেছিলেন, এইপদে মায়াবতীকে অনেক বেশি মানায়। আর অখিলেশ বলেছিলেন, ‘আমাদের দু’জনের উচ্চাকাঙ্খার মধ্যে কোনও বিরোধ নেই। তাঁকে প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে আমি হাসিমুখে সর্বতোভাবে চেষ্টা করব। আর উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আমাকে দেখতে তিনিও খুশি হয়ে সব কাজ করবেন।’