কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
সন্দীপ স্বর্ণকার, নয়াদিল্লি, ১৭ মে: তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার চেষ্টা হচ্ছে বলে সওয়ালের পরেও সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেলেন কলকাতার প্রাক্তন পুলিস কমিশনার রাজীবকুমার। তাঁকে গ্রেপ্তার করা যাবে না বলে চিটফান্ড মামলায় সুপ্রিম কোর্ট (গত ৫ ফেব্রুয়ারি) রাজীবকুমারকে যে রক্ষাকবচ দিয়েছিল, আজ তা প্রত্যাহার করে নেওয়ার রায় শোনাল সর্বোচ্চ আদালত। জানিয়ে দিল, আইন মোতাবেক রাজীবকুমারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে সিবিআই। রাজীবকুমারে বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের মূল অভিযোগ, সারদায় তথ্য লোপাট করেছেন।
রক্ষাকবচ তুলে নিলেও রাজীবকুমারকে তাঁর গ্রেপ্তারি আটকানোর চেষ্টায় সাতদিন সময় দিল সুপ্রিম কোর্ট। আট পাতার রায়ে আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিল, আজ থেকে সাতদিন রাজীবকুমারকে কোনওভাবেই গ্রেপ্তার করতে পারবে না সিবিআই। এবং এই সময়ের মধ্যে রাজীবকুমার উপযুক্ত আদালতে গিয়ে নিজেকে রক্ষার আইনি পদক্ষেপ নিতে পারবেন। উল্লেখ্য, সারদা সংক্রান্ত দুটি মামলার মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট আজ স্রেফ রাজীবকুমারের রক্ষাকবচের মামলাটির রায় দিয়েছে। বাকি চিটফান্ড দুর্নীতির তদন্তে রাজ্য সরকার সাহায্য করছে না বলে সিবিআই যে আদালত অবমাননার মামলা করেছে, তার কোনও রায় অবশ্য দেয়নি।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের মতে, আজকের রায়ের ফলে রাজীবকুমার প্রাথমিকভাবে ধাক্কা খেলেও নিজেকে রক্ষা করার রাস্তা খোলা রয়েছে। আইন মোতাবেক এগতে সিবিআইকে সবার আগে রাজীবকুমারের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে হবে। যা এতদিন করেনি সিবিআই। অন্যদিকে, সিবিআইয়ের ওই এফআইআরকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবেন রাজীবকুমার। চাইতে পারবেন আগাম জামিনও। বিশ্বস্ত সূত্রে খবর, এ ব্যাপারে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভির সঙ্গে এদিন দিল্লিতে বৈঠক করেছেন রাজীবকুমার। ওদিকে, সিবিআই’ও তদন্ত এগতে রাজীবকুমারের বিরুদ্ধে দ্রুত এফআইআর করতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।
সারদা সহ অন্যান্য চিটফান্ড মামলায় রাজীবকুমার তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বলে অভিযোগ করে সিবিআই। চিটফান্ড মামলায় রাজ্যের তৈরি স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমের প্রধান ছিলেন রাজীবকুমার। তাই এই মামলার তদন্তে তাঁর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। অথচ বার বার ডাকা সত্ত্বেও রাজীবকুমার সাড়া দেননি বলেই গত ৩ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় তাঁর বাড়িতে হাজির হতে হয়েছিল বলে আদালতে জানিয়েছে সিবিআই। রাজীবকুমারের বিরুদ্ধে তথ্য লোপাটের অভিযোগ আনা হয়। যদিও অভিযোগ মিথ্যা বলেই রাজীবকুমারের দাবি।
তদন্তে সহযোগিতা করতে আদালতের নির্দেশ মতো শিলংয়ে গিয়েও সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন রাজীবকুমার। কিন্তু তার পরে সিবিআই মুখবন্ধ খামে সুপ্রিম কোর্টকে যে রিপোর্ট দিয়েছিল তা দেখে শুনানিতে দেশের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের মন্তব্য ছিল, ‘এ তো অত্যন্ত সিরিয়াস।’ ১২ দিন শুনানি শেষে রায় রিজার্ভ রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট। আজ সেই রায়দান হল। রায় পড়লেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না।
রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজীবকুমার মামলার সঙ্গে সরাসরি ভোটের কোনও সম্পর্ক না থাকলেও উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, পাঁচ বছর আগে লোকসভার নির্বাচনের সময়ই ২০১৪ সালের ৯ মে সারদা চিটফান্ড মামলায় সিবিআই তদন্তের রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এখন ফের এক লোকসভা নির্বাচন পর্বেই সারদা মামলারই একটি অংশের নতুন রায়ে রাজীবকুমারের রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করে নিল শীর্ষ আদালত।
রক্ষাকবচ তুলে নিলেও রাজীবকুমারকে তাঁর গ্রেপ্তারি আটকানোর চেষ্টায় সাতদিন সময় দিল সুপ্রিম কোর্ট। আট পাতার রায়ে আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিল, আজ থেকে সাতদিন রাজীবকুমারকে কোনওভাবেই গ্রেপ্তার করতে পারবে না সিবিআই। এবং এই সময়ের মধ্যে রাজীবকুমার উপযুক্ত আদালতে গিয়ে নিজেকে রক্ষার আইনি পদক্ষেপ নিতে পারবেন। উল্লেখ্য, সারদা সংক্রান্ত দুটি মামলার মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট আজ স্রেফ রাজীবকুমারের রক্ষাকবচের মামলাটির রায় দিয়েছে। বাকি চিটফান্ড দুর্নীতির তদন্তে রাজ্য সরকার সাহায্য করছে না বলে সিবিআই যে আদালত অবমাননার মামলা করেছে, তার কোনও রায় অবশ্য দেয়নি।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের মতে, আজকের রায়ের ফলে রাজীবকুমার প্রাথমিকভাবে ধাক্কা খেলেও নিজেকে রক্ষা করার রাস্তা খোলা রয়েছে। আইন মোতাবেক এগতে সিবিআইকে সবার আগে রাজীবকুমারের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে হবে। যা এতদিন করেনি সিবিআই। অন্যদিকে, সিবিআইয়ের ওই এফআইআরকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবেন রাজীবকুমার। চাইতে পারবেন আগাম জামিনও। বিশ্বস্ত সূত্রে খবর, এ ব্যাপারে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভির সঙ্গে এদিন দিল্লিতে বৈঠক করেছেন রাজীবকুমার। ওদিকে, সিবিআই’ও তদন্ত এগতে রাজীবকুমারের বিরুদ্ধে দ্রুত এফআইআর করতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।
সারদা সহ অন্যান্য চিটফান্ড মামলায় রাজীবকুমার তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বলে অভিযোগ করে সিবিআই। চিটফান্ড মামলায় রাজ্যের তৈরি স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমের প্রধান ছিলেন রাজীবকুমার। তাই এই মামলার তদন্তে তাঁর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। অথচ বার বার ডাকা সত্ত্বেও রাজীবকুমার সাড়া দেননি বলেই গত ৩ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় তাঁর বাড়িতে হাজির হতে হয়েছিল বলে আদালতে জানিয়েছে সিবিআই। রাজীবকুমারের বিরুদ্ধে তথ্য লোপাটের অভিযোগ আনা হয়। যদিও অভিযোগ মিথ্যা বলেই রাজীবকুমারের দাবি।
তদন্তে সহযোগিতা করতে আদালতের নির্দেশ মতো শিলংয়ে গিয়েও সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন রাজীবকুমার। কিন্তু তার পরে সিবিআই মুখবন্ধ খামে সুপ্রিম কোর্টকে যে রিপোর্ট দিয়েছিল তা দেখে শুনানিতে দেশের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের মন্তব্য ছিল, ‘এ তো অত্যন্ত সিরিয়াস।’ ১২ দিন শুনানি শেষে রায় রিজার্ভ রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট। আজ সেই রায়দান হল। রায় পড়লেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না।
রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজীবকুমার মামলার সঙ্গে সরাসরি ভোটের কোনও সম্পর্ক না থাকলেও উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, পাঁচ বছর আগে লোকসভার নির্বাচনের সময়ই ২০১৪ সালের ৯ মে সারদা চিটফান্ড মামলায় সিবিআই তদন্তের রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এখন ফের এক লোকসভা নির্বাচন পর্বেই সারদা মামলারই একটি অংশের নতুন রায়ে রাজীবকুমারের রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করে নিল শীর্ষ আদালত।
