গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
প্রচারের শেষদিনে সকাল থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়ে সমস্ত রাজনৈতিক দল। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপি ও কংগ্রেস, দুই দলই বিকেলের দিকে দুটি সাংবাদিক বৈঠক করে। নয়াদিল্লিতে বিজেপির সাংবাদিক বৈঠকে দলীয় সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। শাহ কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান পেশ করেন। তবে, পাঁচ বছরে প্রথমবার সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির হলেও কোনও প্রশ্নের জবাব দেননি মোদি। অন্যদিকে, এদিন রাহুল গান্ধী স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে বিজেপিকে নিশানা করেন। এদিকে শুক্রবার নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
রবিবার, ৫৯টি লোকসভা আসনে নির্বাচন হতে চলেছে। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশ ও পাঞ্জাবে ১৩টি করে, বিহার ও মধ্যপ্রদেশে ৮টি করে, পশ্চিমবঙ্গে ৯টি, হিমাচল প্রদেশে ৪টি, ঝাড়খণ্ডে ৩টি এবং চণ্ডীগড়ের ১টি আসনে ভোট হবে। শেষ দফায় বিশেষ নজর থাকবে উত্তরপ্রদেশের দিকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লড়ছেন এরাজ্যের বারাণসী কেন্দ্র থেকে। এই আসনে দ্বিতীয়বারও ভালো ফলের ব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী। তবে, এবার তাঁকে টেক্কা দিতে কোমর বেঁধেছে বিরোধীরাও। সেই সঙ্গে, উপনির্বাচনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের গড় গোরক্ষপুরে হেরে গিয়েছিল বিজেপি। এবার সেই আসনটি পুনরুদ্ধার করতে ভোজপুরি অভিনেতা রবি কিষাণকে বাজি ধরেছে গেরুয়া শিবির। এছাড়া নজর থাকবে বিহার, মধ্যপ্রদেশ সহ বিভিন্ন রাজ্যের একাধিক আসনেও। প্রসঙ্গত, কলকাতায় অমিত শাহের রোড শোয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। এর জেরেই ২২ ঘণ্টা আগে অর্থাত্ বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গে প্রচার বন্ধ করার নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। এদিকে, লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই দেশজুড়ে বেশ কয়েকটি আসনে বিধানসভা উপনির্বাচনও হতে চলেছে।