কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিকে তামিলনাডুর মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সত্যব্রত সাহু জানিয়েছে, কমল হাসানের ওই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে জেলার নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কমল হাসানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হওয়ার পর পুলিসই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। বর্তমানে বিষয়টির তদন্ত করছেন জেলার নির্বাচনী আধিকারিক। তাঁর কাছে আমরা রিপোর্ট চেয়েছি। রিপোর্ট হাতে পেলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
হিন্দু কট্টরপন্থীদের উদ্দেশে সম্প্রতি একের পর এক মন্তব্য করে সংবাদের শিরোনামে এসেছেন সদ্য রাজনীতিতে পা রাখা কমল হাসান। গত রবিবার আরাভাকুরুচি বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে ‘স্বাধীন ভারতের প্রথম জঙ্গি একজন হিন্দু ছিল’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। গান্ধীজির হত্যাকারী নাথুরাম গডসের দিকেই ইঙ্গিত করেছিলেন তিনি। সেই মন্তব্যের জেরে কমল হাসানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। কমলও তড়িঘড়ি আগাম জামিন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। এদিন সেই প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে এই অভিনেতা-রাজনীতিক জানান, আগেও লোকসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে তিনি এমন বহু মন্তব্য করেছেন। কিন্তু, তখন কেউ প্রশ্ন তোলেনি। এখন অনেকের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরেছে বলেই তাঁর বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। কমল বলেন, ‘সব ধর্মেরই নিজস্ব জঙ্গি রয়েছে। ইতিহাস ঘাঁটলে এমন নানা ধর্মের বহু লোককে আপনি খুঁজে পাবেন। কেউই নিজেদের সম্পূর্ণ পবিত্র বলে দাবি করতে পারেন না। আমি এই অর্থেই সেদিনের বক্তব্য রেখেছিলাম।’ সেদিন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দিতেই ওই মন্তব্য করেছিলেন বলে দাবি করেন কমল।
এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, গডসের ধর্ম উল্লেখ না করেও তো তিনি বক্তব্য রাখতে পারতেন? উত্তরে তিনি সাফ জানান, ওই অবস্থান থেকে তিনি এখনও সরছেন না। তাঁর দাবি, ওই মন্তব্যের পর এলাকায় কোনও অশান্তি হয়নি। তাঁর বিরোধীরা ইচ্ছে করে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে। গ্রেপ্তারির ভয়েই কি তিনি আগাম জামিন পেতে মাদ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে কমল হাসান বলেন, ‘আমি গ্রেপ্তারিকে ভয় পাই না। কিন্তু, আমাকে ভোটের প্রচারও করতে হচ্ছে। আমাকে যদি গ্রেপ্তার করা হয় তাহলে অশান্তি বাড়বে। এটা আমার অনুরোধ নয়, পরামর্শ। সেই পথে না হাঁটাই ভালো।’