পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সমাজবাদী পার্টির সহ সভাপতি এবং অখিলেশ যাদবের বর্তমানে সবথেকে ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত কিরন্ময় নন্দ গত ১০ দিন ধরে বারাণসীতেই পড়ে রয়েছেন। তিনি বললেন, এই আটটি লোকসভা কেন্দ্রের ৪২টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ২০১২ সালে সমাজবাদী পার্টি ৩৪টি আসন পেয়েছিল। ২০১৪ সালে সমাজবাদী ও বহুজন সমাজ পার্টির ভোটব্যাঙ্কের বিভাজনই মোদির জয়ের কারণ। কোনও ম্যাজিক কিংবা হাওয়া যে ছিল না এবার ভোটে সেটা প্রমাণ হয়ে যাবে। এবার জোটের মোকাবিলা করার ক্ষমতা কারও নেই। কিন্তু কংগ্রেসকে যেভাবে নতুনভাবে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী অক্সিজেন দিয়েছেন সেটা তো জোটের পক্ষে বড় ক্ষতি। কারণ এবার বিজেপি বিরোধী ভোট যাবে কিছুটা কংগ্রেসের কাছেও। কিরন্ময়বাবু সেটা মানতে চাননি। তিনি বলছেন ঠিক উল্টো হবে। অর্থাৎ কংগ্রেস আলাদাভাবে লড়াই করে আমাদের উপকার করেছে। কারণ কংগ্রেস মূলত বিজেপি ভোটব্যাঙ্কেই থাবা বসাচ্ছে। কংগ্রেস বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ আসনেই দেখা যাচ্ছে উচ্চবর্ণের প্রার্থী দিয়েছে। সেটা কেন? যেখানে দলিত কিংবা ওবিসি অধ্যুষিত কেন্দ্র, সেখানেও কংগ্রেসের উচ্চবর্ণের প্রার্থী। এর অর্থই হল বিজেপি বিরোধী উচ্চবর্ণের ভোট যাতে কংগ্রেসের দিকে যায়। উচ্চবর্ণ হয়তো সমাজবাদী ও বহুজন সমাজ পার্টির প্রার্থীকে না দিয়ে শেষ পর্যন্ত সেই বিজেপিকেই দিতে বাধ্য হতো। এখন কংগ্রেস একটা বিকল্প হয়ে গেল। উত্তরপ্রদেশে মায়াবতী ও অখিলেশ যাদবের জোট কত আসনে জয়ী হবে? কিরন্ময় নন্দ বলছেন আমাদের দলের হিসেব ৬০ পেরবে। এমনকী গতবার এনডিএ যা পেয়েছিল, এবার জোট সেরকম পেতে পারে। বস্তুত পূর্ব উত্তরপ্রদেশে শেষ দফার ভোটগ্রহণের আগে রাহুল গান্ধী থেকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, নরেন্দ্র মোদি থেকে অমিত শাহ এবং অখিলেশ যাদব থেকে মায়াবতী, প্রত্যেকেই এই ৬টি কেন্দ্রে মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন। এই ৮টি কেন্দ্রের ভরকেন্দ্রই হল বারাণসী। যাকে কেন্দ্র করে এই ৮টি কেন্দ্রের জয়পরাজয় আসলে বিজেপির কাছে চ্যালেঞ্জ। কারণ এই ৮টি কেন্দ্রকে ঘিরে তাঁর ব্যক্তিগত ইমেজের লড়াই। বিজেপির বারাণসী জেলা সাধারণ সম্পাদক শুকলাল মিশ্র আজ বললেন, মোদিজী বারাণসী কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন কেন? নিছক জেতা নয়। স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত পূর্ব উত্তরপ্রদেশ সবথেকে বঞ্চিত এলাকা। কোনও উন্নতি হয়নি। তাই মোদিজি ইচ্ছা করে বেছে নিয়েছেন এই এলাকাকে। কারণ বারাণসীকে কেন্দ্র করে পূর্ব উত্তরপ্রদেশকে উন্নয়নের নতুন ফোকাস দেওয়া হচ্ছে। তাই এবার পূর্ব উত্তরপ্রদেশের প্রতিটি কেন্দ্রেই আসলে স্বয়ং মোদিজি প্রার্থী। শুকলালজী যেটা বললেন সেটাই সবথেকে বড় টেনশনও বটে মোদির কাছে। কারণ বিরোধীরা পূর্ব উত্তরপ্রদেশে যেভাবে জোট ও ভোটব্যাঙ্কের সমীকরণ নিয়ে নেমেছে তার জেরে এই এলাকায় বেশ কিছু আসন এবার বিজেপির হাতছাড়া হতে পারে বলে বিরোধী দলগুলির আশা। সব মিলিয়ে এই ৮টি কেন্দ্র বিজেপির উত্তরপ্রদেশ জয়ের জন্য জরুরি। পূর্ব উত্তরপ্রদেশে যদি কিছু আসন হাতছাড়া হয় তাহলে অবশ্যই সেখানে তাঁকে বড়সড় ধাক্কা দেবে।